Sunday, August 10, 2025

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই বড় এক সুসংবাদ পেল পাকিস্তান

আরও পড়ুন

কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রায় যুদ্ধের রূপ ধারণ করেছে। এমন চরম রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সীমান্ত সংঘাতের আবহে এক স্বস্তির খবর পেয়েছে পাকিস্তান। দেশটির জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে।

শুক্রবার (৯ মে) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আইএমএফ নির্বাহী বোর্ডের বৈঠকে পাকিস্তানকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই অর্থ এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) কর্মসূচির আওতায় অবিলম্বে ছাড় করা হবে।

আরও পড়ুনঃ  চিরকুট লিখে মুয়াজ্জিনের আত্মহত্যা

বৈঠকে পাকিস্তানের কর্মক্ষমতা মানদণ্ড সংশোধন এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) কাঠামোর আওতায় নতুন ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আইএমএফ এবং ইসলামাবাদের মধ্যে গত মার্চে ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সুবিধার প্রথম পর্যালোচনা নিয়ে একটি স্টাফ-লেভেল চুক্তি (এসএলএ) হয়েছিল। ২৮ মাসের এই চুক্তি পাকিস্তানকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তা করবে বলে জানিয়েছিল আইএমএফ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫ দশমিক ১ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। ২০২৪ সালে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা দেশের জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত।

আরও পড়ুনঃ  আজহারীকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

চলতি হিসাব ঘাটতির বিষয়েও আইএমএফ ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে। সংস্থাটির মতে, পাকিস্তানের চলতি হিসাব ঘাটতি জিডিপির ০.১ শতাংশ (প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার) হবে। এটি যা আগের ১ শতাংশ (৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার) পূর্বাভাসের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

এছাড়া পাকিস্তানে বেকারত্বের হার কমার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৫ সালে বেকারত্বের হার ৮ শতাংশ এবং ২০২৬ সালে আরও কমে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে। ২০২৪ সালে এ হার ছিল আট দশমিক তিন শতাংশ।

আরও পড়ুনঃ  ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক নয়াদিল্লি’

আইএমএফের এই অর্থ ছাড় এবং ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস পাকিস্তানের জন্য একদিকে যেমন আর্থিক স্বস্তি বয়ে আনছে, অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পথে এগিয়ে যাওয়ার বার্তাও দিচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ