Saturday, May 10, 2025

উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে আসতে পারে যেসব সিদ্ধান্ত

আরও পড়ুন

আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতা-কর্মীরা টানা আন্দোলন করে আসছেন।

এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। শনিবার (১০ মে) রাত ৮টায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশি সংবাদ সংস্থা ইউএনবি।

এর আগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত থেকে গতকাল শুক্রবার (৯ মে) সারা দিন প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গণজমায়েতের পর বিকাল ৫টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। তাদের কর্মসূচি আজ শনিবারও চলছে।

আরও পড়ুনঃ  যে কারণে ছাত্রলীগকে নির্লজ্জ বললো সোহেল তাজ

টানা এ কর্মসূচির মধ্যে উপদেষ্টার পরিষদের জরুরি এই বৈঠক আহ্বান করা হলো।

অন্তর্বর্তী সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার জানা মতে অন্য কোনো বিষয় নেই। বৈঠকে কেবল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের খসড়া সংশোধনী নিয়ে আলোচনা হবে।’

তবে গতকাল শুক্রবার সরকার বলেছিল, তারা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিক দল, দলের সহযোগী সংগঠন এবং সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক নেতাদের বিচারের বিধান অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন অবিলম্বে সংশোধন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  নাশকতার সঙ্গে প্রতিবাদী ছাত্র-জনতার সম্পর্ক নেই : কোটাবিরোধীরা

তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আওয়ামী লীগের সরকার কর্তৃক গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্বে বিচারের জন্য এই আইন সংশোধন হতে যাচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে সরকার।

অন্তর্বর্তী সরকার জানায়, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদনও তারা বিবেচনায় রাখছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  সেতুর নিচে নদীতে ভাসছিল ট্রলি ব্যাগ, পাওয়া গেল পা-মাথা বিচ্ছিন্ন লাশ

সরকার আরও জানিয়েছে, জনদাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে ছাত্রলীগকে ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ