ডাব একটি পুষ্টিকর পানীয় যা শরীরের ভেতর ও বাইরে যত্ন নেয়। কিন্তু সব সময় এটি সবার জন্য নিরাপদ নয়। কিছু নির্দিষ্ট রোগ বা শারীরিক অবস্থায় ডাবের পানি পান করলে উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে। আসুন জেনে নিই, কোন কোন পরিস্থিতিতে ডাবের পানি এড়িয়ে চলা উচিত।
১. ডায়াবেটিস
ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালোরি থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি হলে তা কার্ডিওভাসকুলার রোগ, স্নায়ু ও কিডনির ক্ষতি এবং চোখের সমস্যার মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রতিদিন ডাবের পানি পান করা একেবারেই ঠিক নয়।
২. অ্যালার্জি
ডাবের পানিতে ‘ট্রোপোমায়োসিন’ নামক একটি প্রোটিন থাকে। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরে গেলে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। যাদের আগে থেকেই অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের ডাবের পানি না খাওয়াই ভালো।
৩. কিডনির রোগ
ডাবের পানিতে পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। কিডনির সমস্যা থাকলে শরীর থেকে এই অতিরিক্ত পটাশিয়াম বের হতে পারে না, যা হার্টের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই কিডনি রোগীদের ডাবের পানি এড়িয়ে চলা উচিত।
৪. সর্দি ও কাশি
ডাবের পানি প্রকৃতিগতভাবে ঠান্ডা হওয়ায় অতিরিক্ত পান করলে সর্দি, গলা বসা বা কাশি বেড়ে যেতে পারে। ঠান্ডাজনিত অসুস্থতার সময় এটি সীমিত পরিমাণে পান করা ভালো।
৫. অস্ত্রোপচার
অস্ত্রোপচারের সময় বা পরে ডাবের পানি রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই কোনো অস্ত্রোপচারের কমপক্ষে দুই সপ্তাহ আগে থেকে ডাব খাওয়া বন্ধ করা উচিত।
৬. ওজন কমাতে চাইলে
যারা ওজন কমাতে চাইছেন, তাদের জন্য অতিরিক্ত ডাবের পানি পান করা ঠিক নয়। ডাবের পানিতে চিনির পরিমাণ কম থাকলেও এটি ক্যালোরির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, যা ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে পারে।
পরিশেষে বলা যায়, ডাবের পানি উপকারী হলেও তা পরিমিত পরিমাণে এবং শরীরের অবস্থা বুঝে পান করা উচিত।