ইরান তার ক্রুজ মিসাইল বহরের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটনসহ সব বড় শহরকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। একই সঙ্গে ইউরোপীয় দেশগুলোকেও তার মিসাইলের আওতায় আনা হয়েছে বলে ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও বৈদেশিক নীতি কমিশনের সদস্য আমির হায়াত মোকাদ্দাম জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ইসলামিক রেভুলশনারি গার্ড কোরের এরোস্পেস ফোর্স গত ২০ বছর ধরে ইরানি যুদ্ধজাহাজ ও ক্রুজ মিসাইল দিয়ে শত্রুদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। তার ভাষায়, “ইরানের জাহাজ ও মিসাইল যুক্তরাষ্ট্রের ২০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছে নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন এবং অন্যান্য শহরে আঘাত হানতে সক্ষম।”
ইরানের পক্ষের এই হুঁশিয়ারি আসে এমন এক সময়ে যখন ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি ইরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ইঙ্গিত দিয়েছে। ইরান জানিয়েছে, যদি পারমাণবিক আলোচনায় তাৎক্ষণিক কোনও অগ্রগতি না হয়, তবে কঠোর প্রতিক্রিয়া নেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইরানের ক্রুজ এবং ব্যালিস্টিক মিসাইল বহর ১৩৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। নৌবাহিনীর আবু মাহদী ক্রুজ মিসাইল প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত কার্যকর। যদিও এই ক্ষমতা সরাসরি মার্কিন ভূখন্ডে আঘাত হানার জন্য সীমিত, এটি রাজনৈতিক ও সামরিক বার্তা হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে।
ইরানের সামরিক প্রস্তুতি এবং হুঁশিয়ারি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন উত্তেজনার আশঙ্কা সৃষ্টি করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি শুধুমাত্র বাস্তব হুমকি নয়, বরং কৌশলগত বার্তা ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের একটি মাধ্যম।