Wednesday, August 20, 2025

এবার চিরতরে হাসিনার হাসি বন্ধ করল জাতিসংঘ

আরও পড়ুন

নিজস্ব প্রতিবেদক; দিল্লির আকাশে প্রচণ্ড ধোঁয়া, তীব্র বায়ুদূষণ। ঘরের বাইরে বের হওয়া এখন দুষ্কর, শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্টকর। মাঝে মাঝেই দম বন্ধ হয়ে আসে, আর তাই দিল্লি প্রশাসন বাসিন্দাদের ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়।

বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান থেকে পালিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনার জন্যও এটা হয়তো ভালো। ঘরের বাইরে বের না হওয়ার জন্য তার কাছে একটা অজুহাত তো আছেই, আর দিল্লির আকাশের মতো হাসিনার ভাগ্যও গুমোট। নিজের ভবিষ্যত তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। ভারত তাকে আশ্রয় দিলেও, তার মাথার উপর ঘুরছে নানা বিধিনিষেধ—বাইরে বের হওয়া প্রায় নিষিদ্ধ। এমনকি ফেসবুক লাইভেও মুখ দেখানো নিষিদ্ধ।

আরও পড়ুনঃ  ‘আমারে দেখিবার আইসো শেষ জানাজার আগে’

এক সময় যেখানে তিনি টিভি এয়ারটাইমের অর্ধেকটা দখলে রাখতেন, সেখানে এখন ফেসবুকেও তার কণ্ঠ শোনা গেলেও নাম থাকে গোপন। যেসব নেত্রী একসময় হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলতেন, তারা এখন তাকে এড়িয়ে চলছেন, যদিও তার সব সুবিধা তারা নিতে ভুলছেন না। আদালতে দাঁড়িয়ে হাসিনা বলেন, তার বিরুদ্ধে যারা ভুল করেছে, তারা আর কখনো আওয়ামী লীগ করবেন না।

এমন দুর্দিনে হাসিনার জন্য একটি নতুন দুঃখের খবর এসেছে। আন্তর্জাতিকভাবে এই তথ্যটি প্রমাণিত হতে চলেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসিনার শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলন দমনে সরকার যে সহিংসতা চালিয়েছে, তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  মুখ খুললেন ছাত্রলীগের সাদ্দাম-ইনান, দিলেন বিবৃতি

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ওয়ালকার তুর্ককার তুর্ক জানিয়েছেন, গত বছরের সহিংসতার কারণে বাংলাদেশ একটি কঠিন সময় পার করেছে। হাসিনা সরকার বিক্ষোভকারীদের নির্মমভাবে দমন করেছে, যার ফলে দেশে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন নতুন ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করছে, এবং জাতিসংঘের প্রতিবেদন এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এর আগে, ১২ই ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, হাসিনা সরকার সহিংস উপায়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এই প্রতিবেদনটি হাসিনার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে একটি বড় আঘাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা এখন চিরকাল অনিশ্চিত।

আরও পড়ুনঃ  আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে পারে ইন্টারনেটের ধীরগতি

এখন হাসিনাকে হয়তো যেতে হবে হুমায়ূন আহমেদের নাটকের সেই সংলাপের মতো, “আমার সামনে হাসবা না, আমি হাসি পছন্দ করি না, হাসি বন্ধ।”

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ