মায়ের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে তাঁকে বেধড়ক মারধর এবং একাধিকবার ধর্ষণ করলেন নিজেই। অবশেষে মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অবলীলায় মাকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছেন ধর্ষক পুত্র। জানিয়েছেন, তিনি মাকে ‘শিক্ষা’ দিতেই এ কুকর্ম করেছেন।
সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে, সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন নির্যাতিতা মহিলা। সেখান থেকে ফেরার পরে বাড়িতেই ধর্ষিতা হন। মহিলার কন্যা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ, চলতি মাসেই একাধিক বার ওই মহিলার পুত্র তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। নানা ভাবে মায়ের উপর অত্যাচার করেছেন।
পুলিশে রেকর্ডকৃত নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, গত ২৫ জুলাই স্বামী এবং কন্যার সঙ্গে তিনি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরেন ১১ আগস্ট। সৌদিতে থাকাকালীনই ছেলের ফোন আসত। বাবাকে ফোন করে ছেলে দাবি করতেন, মায়ের ‘চরিত্র খারাপ’। অন্য পুরুষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে। দেশে ফিরেই মায়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করা উচিত, বাবাকে পরামর্শ দিতেন ছেলে। ফেরার পর মাকে বেশ কয়েক বার মারধর করেছিলেন বলে অভিযোগ। ভয়ে মহিলা কিছু দিনের জন্য কন্যার বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখান থেকে ফেরার পর একটি ঘরে মাকে আটকে রেখেছিলেন ছেলে। ছুরি এবং কাঁচি দিয়ে তাঁকে ভয় দেখাতেন এবং ধর্ষণ করতেন।
লজ্জায় বিষয়টি প্রথমে কাউকে বলতে পারেননি মহিলা। কিন্তু একই ঘটনা বার বার ঘটতে থাকায় কন্যাকে জানান তিনি। পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।