Wednesday, October 15, 2025

‘জয় বাংলা’ গানে বিভ্রান্তি, আ. লীগ ভেবে ছাত্র-জনতার অনুষ্ঠানে হামলা

আরও পড়ুন

চাঁদপুরে ১৫ আগস্ট জেলা আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত কার্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছিল ‘মিউজিক পার্টি’র। জুলাই আন্দোলনে অংশ নেয়া কিছু ছাত্র ও জনতা আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে ‘ব্যঙ্গ করে’ বাজানো হয় ‘জয় বাংলা, জিতবে আবার নৌকা’ গান। ওই গান শুনে ‘আওয়ামী লীগ ফিরে এসেছে’ ভেবে অতর্কিতে হামলা করে আরেক দল লোক। এ সময় মিউজিক পার্টির জন্য আনা সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আরিয়ান আহমেদ নামের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জড়িত এক শিক্ষার্থী আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সলিমুল্লাহ সেলিমসহ নেতারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার এক বছর পূর্তি ও ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে গতকাল রাতে জেলা আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত কার্যালয়ের নিচতলায় মিউজিক পার্টির আয়োজন করে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেয়া কিছু ছাত্র ও জনতা। এতে ‘জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা’, ‘পালিয়েছে, শেখ হাসিনা পালিয়েছে’সহ বিভিন্ন গান বাজানো হয়। কিন্তু ‘জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা’ গান শুনে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ‘আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ অবস্থান নিয়েছে’ ভেবে অতর্কিতে হামলা চালান একদল লোক।

আরও পড়ুনঃ  বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ নিয়ে যা বলছে যুক্ত*রাষ্ট্রের দূতাবাস

খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া ঘটনাস্থলে আসেন। একই সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সলিমুল্লাহ সেলিম এসে পুলিশের মাইক হাতে নিয়ে সবাইকে শান্ত করেন। ভাঙচুর ও উত্তেজনার মধ্যে এক শিক্ষার্থী এতে আহত হন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের নিচতলায় মিউজিক পার্টির আয়োজন করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। এতে বিভিন্ন দলের লোক উপস্থিত ছিলেন। রাত সাড়ে ৯টার পর সেখানে বাজানো গান শুনে পুলিশ এসে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আয়োজন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বুঝতে পেরে তারা সরে যান। কিন্তু ‘জয় বাংলা, জিতবে এবার নৌকা’ গান শুনে ফরিদগঞ্জের বিএনপির একজন নেতা এসে বাধা দেন। তার সঙ্গে একদল লোক এসে ‘ফ্যাসিবাদকে প্রতিহত কর’ বলে ভাঙচুর চালায়। পরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসে সবাইকে শান্ত করেন। মূলত ভুল–বোঝাবুঝি থেকে এ ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুনঃ  সরকারের সুশীল*গিরির পরিণতি গতকাল রাতে দেখতে পেলাম: হাসনাত আবদুল্লাহ

জানতে চাইলে বিএনপি নেতা সলিমুল্লাহ সেলিম বলেন, আমি ঘটনার সময় কাছাকাছি চাঁদপুর ক্লাবে ছিলাম। তখন আমাকে বৈষম্যবিরোধী ও বিএনপির পক্ষ থেকে ফোন করা হয়। তখন আমি দৌড়ে এসে দেখি চরম উত্তেজনা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। পরে সবাইকে আওয়ামী লীগ অফিস ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলে সবাই চলে যায়। আমি সেখানে সময়মতো না গেলে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হতো।

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা হয়নি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

জনপ্রিয় সংবাদ