Sunday, August 17, 2025

আমার ছবিটা প্রিন্ট করে, সবচেয়ে পচা জুতাটা নিক্ষেপ করো

আরও পড়ুন

জুলাই গণঅভুত্থ্যানে ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা খায়রুল বাসার। সমসাময়িক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডেও ভক্তমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক শ্রেণির মানুষের রোষানলে পড়েছেন এই অভিনেতা। তাদের মধ্যে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরও একটি গ্রুপ। এই ঘটনায় বাসারসহ কয়েকজন তারকার বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচির ডাক দেন তারা।

খায়রুল বাসার নিজেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তাই কয়েকটি প্রশ্ন ছুড়ে নিজের ক্যাম্পাসের অনুজদের উদ্দেশে কথা বলেছেন তিনি।

খায়রুল বাসার লিখেছেন, ‘আজ নাকি আমার ক্যাম্পাসে আমাদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ হবে? এই চোরের রাষ্ট্রে, এই বাটপারের রাষ্ট্রে আমি কোন আপরাধে? আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলেছি যুগ ধরে তাই? শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছি তাই?’

আরও পড়ুনঃ  পুরো ইউক্রেনের দখল চান পুতিন

নিজের ক্যাম্পাসের অনুজদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ওকে, আমার ভাইয়েরা; আমার ক্যাম্পাসের প্রিয় অনুজ, আমার ছবিটা বড় করে প্রিন্ট করো এবং সবচেয়ে পচা জুতাটা নিক্ষেপ করো। আমি হাসি মুখে গ্রহণ করছি। কারণ, আমি বুঝেছি তোমরা রাজনৈতিক হয়েছো, তোমরা তোমাদের ইগো এবং তোমাদের আলাদা লক্ষ্যে নেমেছো! সেখানে মানুষ, সেখানে সাধারণের আবেগ অভিভূতি তোমাদের বিবেচনার বিষয় না! তোমরা কেবল ক্ষমতার না এবং ক্ষমতার দাস না, তোমরা নিজের, দেশের এবং দায়িত্বের; এ বিশ্বাস আমার ভাঙতে যাচ্ছে, ভাঙুক! আমি এমন কি আর লোক? ভালোবাসা এবং শুভকামনা তোমাদের জন্য তোমরা এদেশের প্রকৃতি, ঐতিহ্য এবং মানুষের হও এই কামনা।’

আরও পড়ুনঃ  হঠাৎ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে একি বললেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনুস

এর আগে শনিবার (১৫ আগস্ট) সামাজিক মাধ্যমে বিখ্যাত কবি আল মাহমুদের লেখা একটি কবিতার কিছু লাইন শেয়ার করেন খায়রুল বাসার। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘সে যখন বললো, ‘ভাইসব।’ অমনি অরণ্যের এলোমেলো গাছেরাও সারি বেঁধে দাড়িয়ে গেল। সে যখন ডাকলো ‘ভাইয়েরা আমার।’ ভেঙে যাওয়া পাখির ডাক নেমে এলো পৃথিবীর ডাঙায়।’’

একই পোস্টে বঙ্গবন্ধুকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে খায়রুল বাসার শেয়ার করেন আরেক প্রখ্যাত কবি নির্মলেন্দু গুণের ‘বাংলার ধ্রুবতারা’ শীর্ষক কবিতাটি, ‘‘শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে / রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে / অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন / তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল / হৃদয়ে লাগিল দোলা / জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার / সকল দুয়ার খোলা / কে রোধে তাঁহার বজ্রকন্ঠ বাণী?/ গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তার অমর-কবিতাখানি / ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’/ সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের।’’

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ