সাতক্ষীরার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলা শিক্ষক গাজী মোমিন উদ্দিনের থাপ্পড়ে কানের পর্দা ফেটে গেছে এক শিক্ষার্থীর। এ ঘটনায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম আরিফিন রিফাত। সে প্রভাতি শিফটের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। অভিযোগে জানা যায়, অসুস্থ অবস্থায় গত ৩ আগস্ট স্কুলে আসে রিফাত। ক্লাস চলাকালীন অসুস্থতা বেড়ে গেলে সে ব্রেঞ্চে মাথা রেখে কিছু সময় শুয়ে ছিল।
অভিযোগ অনুযায়ী, বাংলা শিক্ষক গাজী মোমিন উদ্দিন বিষয়টি না জেনেই তাকে ডেকে নিয়ে কানে একাধিক থাপ্পড় মারেন। এতে রিফাতের তীব্র মাথাব্যথা শুরু হয় এবং কান থেকে রক্ত বের হয়। এক সহপাঠীর সহায়তায় সে কান পরিষ্কার করে এবং পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
পরবর্তীতে তার অবস্থার অবনতি হলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ ডা. হাসানুজ্জামানের শরণাপন্ন হয় পরিবার। তিনি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানান, রিফাতের কানের পর্দা ছিঁড়ে গেছে এবং তা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আগামী তিন মাসের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন করাতে হবে। তা না হলে শ্রবণ শক্তি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে।
ঘটনার পর শিক্ষার্থীর বাবা ফারুকুজ্জামান বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক গাজী মোমিন উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় শুনেই ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম টুকু বলেন, ‘বিষয়টি জানার পরপরই আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর শিক্ষা বিভাগের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’