গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে প্রায় পাঁচ মাস ধরে নিষিদ্ধ রয়েছে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম। মাঝে মাঝে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে মাথাচাড়া দেওয়ার অভিযোগ থাকলেও দলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে।
তবে এবার আলোচনায় এসেছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম যেকোনো সময় সচল করা হতে পারে।
ড. ইউনূস বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেনি। শুধু কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। তারা একটি বৈধ দল, তবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে পারছে না। যেকোনো সময় কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত আসতে পারে।”
নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। তবে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা সাধারণ ভোটারের মতোই ভোট দিতে পারবেন।
এ সময় তিনি সমালোচনা করে বলেন, “আওয়ামী লীগ নিজেদের রাজনৈতিক দল দাবি করলেও রাজনৈতিক দলের মতো আচরণ দেখাতে পারেনি। তারা মানুষ হত্যা করেছে, দায় স্বীকার না করে সবসময় অন্যকে দোষারোপ করেছে।”
অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টার এমন মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার আসলে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে কাজ করছে। তার মতে, চাইলে প্রধান উপদেষ্টা নিজেই আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন।