Tuesday, October 14, 2025

ব্রেকিং নিউজ: প্রাথমিকে ছুটি নিয়ে দুঃসংবাদ

আরও পড়ুন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বছরে ১৭৯ দিনের মতো স্কুল খোলা থাকে। বছরে ছুটি ৭৯ দিনের মতো। তাই ছুটি কমানোর চিন্তা করছে সরকার। ছুটি ৭৯ দিন থেকে কমিয়ে ৬০ দিনের মতো করা হচ্ছে। সরকার বলছে, এতে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি সময় স্কুলে থাকতে পারবে এবং পাঠ গ্রহণের সুযোগ পাবে।

বিজ্ঞাপন
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরায় এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এমনটাই জানান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান।

সাতক্ষীরা শহরের লেকভিউ রিসোর্টের মিলনায়তনে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো–অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) কারিগরি সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলার ৪০ জন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন।

বিজ্ঞাপন
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, দেশে বছরে মাত্র ১৭৯ দিন স্কুল খোলা পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সময় বাড়াতে ছুটির ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আমাদের বছরে ছুটি ছিল ৭৯ দিন। তা কমিয়ে ৬০ দিনের মতো করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা আরও বেশি সময় স্কুলে থাকতে পারবে এবং পাঠ গ্রহণের সুযোগ পাবে।

আরও পড়ুনঃ  প্রধান উপদেষ্টাকে ভারতের প্রধান°মন্ত্রী মোদির নতুন বছরের শুভেচ্ছা

এ সময় স্কুলের আশপাশে অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রসঙ্গ তুলে ধরে আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, প্রায় সব স্কুলের পাঁচিলের বাইরে সারি সারি দোকান। এসব দোকানে ঝালমুড়ি, ফুচকা, চটপটি, আইসক্রিমসহ নানা মুখরোচক খাবার বিক্রি হয়। কিন্তু এগুলোতে কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না। ফুচকা বিক্রেতারা এক বালতি পানি দিয়েই সারা দিনের সব কাজ সারছে। একই পানি দিয়ে প্লেট ধোয়া, হাত ধোয়া, এমনকি ঘাম মোছার কাজও হচ্ছে। এরপর একটি গামছা দিয়েই সব মুছে ফেলা হচ্ছে। অথচ শিশুরাসহ আমরা সেসব খাবার খাচ্ছি।

আবু নূর মো. শামসুজ্জামান আরও বলেন, অন্যদিকে সামর্থ্যবানেরা তথাকথিত ‘জাঙ্ক ফুড’ খাচ্ছেন, যেখানে কেমিক্যালসহ নানা অস্বাস্থ্যকর উপাদান ব্যবহার করা হয়। শিক্ষকদের মনে রাখতে হবে, ‘ফুড সিকিউরিটি’ ও ‘ফুড সেফটি’। শুধু খাবারের প্রাপ্যতা নয়, খাবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও সময়ের দাবি।

আরও পড়ুনঃ  স্বর্ণ, র্টাকা, জমির পরিবর্তে আগামী ১০ বছর পর যে জিনিস হবে সবচেয়ে দামি!

প্রশিক্ষণে শিশুদের জন্য নিরাপদ খাদ্যের প্রাথমিক ধারণা, মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি, করণীয়-বর্জনীয় ও হাত ধোয়ার পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত ছিল। শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের এসব বিষয়ে সচেতন করবেন।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান, সচিব ও এসটিআইআরসি প্রকল্পের পরিচালক শ্রাবস্তী রায়, প্রকল্পের টিম লিডার আতসুশি কইয়ামা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তঅ মো. রুহুল আমীন ও জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা দীপংকর দত্ত।

আরও পড়ুনঃ  এইচএসসির ফলাফল নিয়ে নতুন বার্তা দিলো শিক্ষা বোর্ড

খাদ্য নিরাপদ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া বলেন, ‘আমরা সবাই সুস্বাস্থ্য চাই। সুস্বাস্থ্যের দুটি মূলনীতি হলো, যে খাদ্য গ্রহণ করবেন, তা যেন নিরাপদ হয় এবং সুস্বাস্থ্যের নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। এ দুটি বিষয় মানা না হলে চিকিৎসক যতই চেষ্টা করুন না কেন, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, আগুন থেকে রক্ষা করে ফায়ার সার্ভিস নয়, বরং নিজেদের সচেতনতা। একইভাবে চিকিৎসাব্যবস্থা আপনাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করবে, কিন্তু নিজের স্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব প্রথমে আমাদেরই নিতে হবে।’

এর আগে, আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে ৭ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন বহাল রেখেই শিক্ষাপঞ্জির অন্যান্য ছুটি কমিয়ে আনা হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

জনপ্রিয় সংবাদ