বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সারাদেশে একযোগে শুরু হলো বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস)। ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত এই প্রকল্প শেষ হলে আগামী ১০০ বছর আর নতুন করে জমির জরিপ করার প্রয়োজন হবে না।
ইতিমধ্যে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ চারটি জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে কার্যক্রম চলছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সারাদেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মৌজা ডিজিটাল রেকর্ডের আওতায় আসবে। পুরো প্রকল্পের জন্য প্রায় ১,০০০ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
জরিপের ধাপসমূহ
১. খতিয়ান হালনাগাদ ও মালিকানা যাচাই
২. ম্যাপ ও নকশা প্রস্তুত
৩. ড্রোন ও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে উন্নত মানের ম্যাপিং
ডিজিটাল রেকর্ড শেষ হলে ভূমি মালিকরা একটি সার্টিফিকেট অফ ল্যান্ড ওনারশিপ (CLO) কার্ড বা ভূমি স্মার্ট কার্ড পাবেন। এই কার্ড ব্যবহার করে পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে জমি কেনাবেচা ও রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হবে।
ভূমি মালিকদের জন্য ৫ জরুরি নির্দেশনা
ভূমি মন্ত্রণালয় জমির প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত করতে পাঁচটি কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে বলেছে—
১. দলিল + নামজারি ও খাজনা দাখিলা
২. উত্তরাধিকার সনদ ও বণ্টননামা দলিল (যদি উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক হন)
৩. জমির দখল নিশ্চিত করা (বেদখলে থাকলে মামলা করে দখল ফেরত নেওয়া)
৪. জমির সীমানা সঠিকভাবে চিহ্নিত করা
৫. সর্বশেষ রেকর্ড (খতিয়ান) সংগ্রহে রাখা
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, এই ডিজিটাল জরিপের মাধ্যমে জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের অবসান হবে এবং ভুয়া মালিকরা প্রতারণার সুযোগ পাবে না।