পিরোজপুরের নেছারাবাদে বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী (১৮) নামে এক কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার স্বরূপকাঠি সদর ইউনিয়নের ৬নং আউরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে নেছারাবাদ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী উপজেলার আউরিয়া গ্রামের নার্সারি ব্যবসায়ী মো. জাহিদ হোসেনের মেয়ে। সে অকলম মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করে সদ্য কলেজে ভর্তি হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত এক মাস আগে নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। তবে অজ্ঞাতনামা কেউ পাত্রপক্ষের কাছে নিহতের টপস ও টি শার্ট পরিহিত একাধিক ছবি মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পাঠালে পাত্রপক্ষ ওই বিয়ে ভেঙে দেয়। এরপর সে অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে।
নিহত ঐশীর বাবা মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘ছেলে পক্ষের কাছে আমার মেয়ের একটি টপস ও টি শার্ট পরিহিত ছবি কেউ পাঠায়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছেলের পক্ষ থেকে বিয়ে ভেঙে দিয়েছে। এটা আমার মেয়ে সহ্য করতে পারেনি, তাই কাউকে না জানিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সন্ধ্যার আগেও স্থানীয় চাচা আইয়ুব আলীর দোকান থেকে আমার মেয়ে মোবাইলের জন্য এমবি কার্ড কিনে বাসায় আসে। এরপর কার সঙ্গে যেন ফোন করে অনেক কান্নাকাটি করে।’
নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক লিমা আক্তার বলেন, ‘তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) রাধেশ্যাম সরকার বলেন,‘খবর পেয়ে মরদেহ হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এবং ঘটনা-সংক্রান্ত একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।’