Saturday, August 23, 2025

আগুনে কত শতাংশ পুড়েছে, কীভাবে নির্ণয় করা হয়?

আরও পড়ুন

শরীরের কতটা অংশ দগ্ধ হয়েছে, তা নির্ধারণ করতে পারলে দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীর জীবনরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা যায়। সেটা নির্ণয়ের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কিছু নিয়ম ও চার্ট অনুসরণ করেন চিকিৎসকরা।

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. শরমিন আক্তার সুমি বলেন, “কত শতাংশ পুড়েছে, তা ক্যালকুলেট করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত হলো ‘রুল অব নাইন’ (Rule of Nine)। এই পদ্ধতিতে শরীরের বিভিন্ন অংশকে ৯ শতাংশ বা তার গুণিতক হিসেবে ভাগ করে মোট পুড়ে যাওয়া অংশের শতকরা হিসাব বের করা হয়।”

আরও পড়ুনঃ  ৩২ লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার ও সন্তান নিয়ে লাপাত্তা নাসিরের স্ত্রী

উদাহরণস্বরূপ, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের একটি হাত (বাহু থেকে আঙুল পর্যন্ত) ধরা হয় ৯শাতাংশ, পায়ের সামনের অংশ ৯ শতাংশ এবং পেছনের অংশ ৯ শতাংশ। এভাবে যোগ করলে শরীরের সম্পূর্ণ অংশ ১০০ শতাংশ হিসেবে ধরা হয়।

তবে তিনি জানান, দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হলে এই ‘রুল অফ নাইন’ এর হিসাব উপকারী হলেও আরও নিখুঁত ও নির্ভুল ফলাফল পাওয়া যায় ‘লান্ড এন্ড ব্রাউডার’ (Lund and Browder Chart) ব্যবহার করলে।

আরও পড়ুনঃ  পদত্যাগ করতে পারেন ড. ইউনূস!

ডা. শরমিন আক্তার সুমি বলেন, “বার্ন ইন্সটিটিউট বা বিশেষায়িত বার্ন সেন্টারগুলোতে আমরা এই চার্ট ফলো করি। এতে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুর জন্য আলাদা চিত্র দেয়া থাকে। রোগীর শরীরের কোথায় কতখানি দগ্ধ হয়েছে, তা এই ছবিতে নির্দিষ্ট করে আঁকা হয় এবং পাশের ছক অনুসারে তার শতকরা হিসাব নির্ধারণ করা হয়।”

এই চার্ট ব্যবহার করলে বয়সভেদে শরীরের বিভিন্ন অংশের গঠনে যেসব তারতম্য থাকে, সেগুলোও নির্ভুলভাবে বোঝা যায়। যেমন, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে পুরো মুখ পুড়লে সেটিকে ৪.৫ শতাংশ ধরা হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে মাথা তুলনামূলকভাবে বড় হওয়ায় মুখ ও মাথা পুড়লে সেই অংশ ৯শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  বী’র্য’পাত বন্ধ রেখে রাতভর স’হবাস করতে যা করবেন

ডা. শরমিন আক্তার আরও বলেন, এ ছাড়াও ‘রুল অব থাম্ব’ (Rule of Thumb) নামে একটি পদ্ধতি আছে, যেখানে রোগীর হাতের তালুকে ১ শতাংশ ধরে পুড়ে যাওয়া অংশের আনুমানিক হিসাব করা হয়। যেসব পোড়ার অংশ ‘ইরেগুলার শেপড’ সেক্ষেত্রে এই নিয়ম ব্যবহার হয়। তবে সারা বিশ্বেই মূলত ‘রুল অফ নাইন’ ও ‘লান্ড ব্রাউডার চার্ট’- এই দুটি পদ্ধতি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ