আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দেহরক্ষীরা একটি বিশেষ ‘টয়লেট স্যুটকেস’ বহন করেছিলেন বলে খবর প্রকাশ পেয়েছে। এনডিটিভি দ্য এক্সপ্রেস ইউএস–এর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশি শক্তিগুলো যেন পুতিনের দেহবর্জ্য সংগ্রহ করে তার স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কোনো তথ্য জানতে না পারে, সে কারণে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিদেশ সফরে গেলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের ফেডারেল প্রোটেকশন সার্ভিস (এফপিএস)–এর সদস্যরা পুতিনের মলমূত্র বিশেষ ব্যাগে সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট ব্রিফকেসে বহন করেন।
ফ্রান্সের সাময়িকী প্যারিস ম্যাচ–এর অনুসন্ধানী সাংবাদিক রেজিস জেন্টে ও মিখাইল রুবিন জানিয়েছেন, এ ধরনের ব্যবস্থা কয়েক বছর ধরে চালু রয়েছে। ২০১৭ সালের মে মাসে পুতিনের ফ্রান্স সফরের সময়ও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছিল। ধারণা করা হয়, তার দেহবর্জ্যের নমুনা সংগ্রহ করে কোনো রাষ্ট্র যাতে গোপনে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য না পায়, সেজন্যই এমন কঠোর নিরাপত্তা।
সাংবাদিক ফরিদা রুস্তামোভাও নিশ্চিত করেছেন যে, ভিয়েনা সফরের সময় পুতিন একটি বহনযোগ্য টয়লেট ব্যবহার করেছিলেন।
এ প্রতিবেদনগুলো এমন সময়ে প্রকাশিত হলো, যখন পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের একটি বৈঠকের ভিডিওতে তাঁর পায়ে তীব্র কাঁপুনি দেখা যায়। এ ভিডিও থেকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, ৭২ বছর বয়সী পুতিন সম্ভবত পারকিনসন রোগে ভুগছেন। তাঁর শরীরে এক্সোস্কেলেটন ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও জল্পনা ওঠে।
২০২৩ সালে পুতিন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় একটি সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সময়ও তাঁর শরীরে একই ধরনের কাঁপুনি দেখা গিয়েছিল।
২০২২ সালে এক্সপ্রেস ইউএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জেনারেল এসভিআর টেলিগ্রাম চ্যানেলগুলোতে গুজব ছড়ানো হয়েছিল, পড়ে যাওয়ার পর পুতিন মল ত্যাগ করে ফেলেছিলেন। পরে ক্রেমলিন এসব মন্তব্যকে ‘ভিত্তিহীন গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়ে জানায়, শত্রুরা এসব রটাচ্ছে।