Wednesday, October 8, 2025

শক্তি বাড়াচ্ছে হ্যারিকেন অ্যারিন, ২৬০ কিমি বেগে যেখানে আঘাত হানতে পারে

আরও পড়ুন

মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে ঘূর্ণিঝড় অ্যারিন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় হ্যারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, বর্তমানে এটি ক্যাটাগরি-৫ মাত্রার একটি মহাশক্তিশালী হ্যারিকেনে পরিণত হয়েছে। যার স্থায়ী বাতাসের গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ মাইল বা প্রায় ২৬০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তি সঞ্চয় করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অ্যারিন বর্তমানে ক্যারিবীয় সাগরে অবস্থান করছে এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এটি লিওয়ার্ড দ্বীপপুঞ্জ, ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ ও পুয়ের্তো রিকোর উত্তরাঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করবে। এসব অঞ্চলে ৬ ইঞ্চি (১৫ সেন্টিমিটার) পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে, যা আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলবে।

আরও পড়ুনঃ  সামরিক ঘাঁটিতে ভয়াবহ হামলা, ২০০ সেনাকে অপহরণ

জাতীয় হ্যারিকেন সেন্টারের পরিচালক মাইক ব্রেনান জানান, অ্যারিন রাতারাতি অত্যন্ত শক্তিশালী হ্যারিকেনে রূপ নিয়েছে এবং বিস্ফোরকভাবে গভীর ও তীব্র হয়েছে। এটি এখন একটি জীবনঘাতী ঝড়।

তিনি আরও বলেন, এই ঘূর্ণিঝড় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় পুরো পূর্ব উপকূলে প্রাণঘাতী ঢেউ ও রিপ কারেন্ট সৃষ্টি করতে পারে। রিপ কারেন্ট হলো এক ধরনের সংকীর্ণ ও শক্তিশালী স্রোত, যা সমুদ্রের তীর থেকে দূরে, গভীর পানির দিকে টেনে নিয়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ফ্লোরিডা ও মিড-অ্যাটলান্টিক অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ঢেউ সবচেয়ে বিপজ্জনক রূপ নিতে পারে। বারমুডাতেও ভারী বৃষ্টিপাত ও প্রাণঘাতী ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  শারীরিক অবস্থার অবনতি: রাত ৩টায় হাসপাতালে খালেদা জিয়া

ঝড়ের প্রভাবে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র কোস্ট গার্ড পুয়ের্তো রিকোর সান হুয়ানসহ ছয়টি পৌরসভা এবং ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জের সেন্ট থমাস ও সেন্ট জন দ্বীপের বন্দরগুলোতে জাহাজ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

এ দিকে মার্কিন ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NOAA) জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্যাটাগরি-৪ ও ক্যাটাগরি-৫ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে। তারা ২০২৫ সালের আটলান্টিক মৌসুমে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হ্যারিকেনের পূর্বাভাস দিয়েছে।

উল্লেখ্য, অ্যারিনই হচ্ছে চলতি বছরের আটলান্টিক অঞ্চলের প্রথম হ্যারিকেন। যদিও এখন পর্যন্ত এটি যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই, তবে এটি ধীরে ধীরে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বাহামার পূর্ব উপকূল ঘেঁষে উত্তর ক্যারোলিনার আউটার ব্যাংকসের দিকে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া বিভাগ।

আরও পড়ুনঃ  লাইভে এসে ছাত্রদল নেতার বি°ষ পান

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঝড়টি কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে তা আগাম বলা কঠিন, তবে উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি নিউজ

আপনার মতামত লিখুনঃ

জনপ্রিয় সংবাদ