Sunday, August 10, 2025

এইমাত্র পাওয়া: আগুন ধরিয়ে দেয়া হলো এক এক করে ৭টি ট্রাকে, চরম উত্তেজনা

আরও পড়ুন

করাচির রশিদ মিনহাস রোডে গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা ভাইবোন প্রাণ হারিয়েছেন। রোববার (১০ আগস্ট) ভোরে এই দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপরে সাতটি ডাম্পার ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় মোটরসাইকেলটিতে বাবা, তার ছেলে এবং মেয়ে ছিলেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার সময় ২২ বছর বয়সী মাহনূর এবং ১৪ বছর বয়সী আহমেদ রাজা মারা যান।

সেন্ট্রাল সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (এসএসপি) জিশান শফিক সিদ্দিকী বলেন, ভোর সোয়া ৩টার দিকে একটি ডাম্পার ট্রাক একটি পরিবারের বহনকারী একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়, যার ফলে ২২ বছর বয়সী মাহনূর এবং তার ১৪ বছর বয়সী ভাই আহমেদ রাজা নিহত হন এবং তাদের ৪৮ বছর বয়সী বাবা শাকির আহত হন।

আরও পড়ুনঃ  ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ, ব্যাপক সংঘর্ষ

দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বেশ কয়েকটি ডাম্পার ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন। আহত অবস্থায় আটক করার আগে ট্রাক চালককে স্থানীয়রা মারধর করে। পরে পুলিশ চালককে আটক করে নিয়ে যায়।

সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ এলাকাটি ঘিরে ফেলে এবং আগুন নেভানোর জন্য দমকল বাহিনীকে ডাকে। এছাড়াও, ডাম্পারে আগুন দেয়ার অভিযোগে পুলিশ ১৪ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ভিডিও এবং প্রযুক্তিগত প্রমাণের সাহায্যে বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  ‘আমি মাকে কী জবাব দেব? চোখ খুলো ভাই’

পুলিশ সার্জন ডা. সুমাইয়া সৈয়দ বলেন, ভাইবোনদের মৃত অবস্থায় আব্বাসি শহিদ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে তাদের বাবা আহত ছিলেন। আত্মীয়দের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, মৃত মেয়েটির শীঘ্রই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। জনতার মারধরের পর পুলিশ গুরুতর আহত দুই চালককে নিয়ে আসে। তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল। অন্যদিকে আরেকটি পুড়ে যাওয়া ডাম্পারের চালকেরমাথায় আঘাত লাগাই তার অবস্থা গুরুতর।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে করাচিতে সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে প্রায় ৫০০ জন মানুষ নিহত এবং ৪ হাজার ৮৭৯ জন আহত হয়েছেন অঞ্চলটিতে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ