Sunday, May 4, 2025

আকাশের সঙ্গে ছেলের বউয়ের সম্পর্কের জেরে হত্যাকাণ্ড, দাবি শিশু আছিয়া হত্যার আসামির

আরও পড়ুন

বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশু আছিয়া হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলমান রয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণের পঞ্চম দিন রোববার মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

এদিন আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণকালে অন্যান্য দিনের মতোই মামলাটির অভিযুক্ত আসামি ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশুটির বোনের শ্বশুর মূল অভিযুক্ত হিটু শেখ, তার স্ত্রী জাহেদা বেগম, শিশুটির বোনের জামাই সজিব শেখ এবং সজিবের বড় ভাই রাতুল শেখ উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষ্যগ্রহণকালে আসামি হিটু শেখ কথা বলার অনুমতি চাইলেও সেই সুযোগ পাননি বলে সংশ্লিষ্টরা আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  ঢাবিতে আমরণ অনশনে ৮ শিক্ষার্থী

তবে সকাল ৯টায় আসামিদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে এবং দুপুরে কারাগারে ফেরার পথে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হওয়া সাংবাদিকদের কাছে মূল অভিযুক্ত হিটু শেখ চিৎকার করে তার ছেলে সজিবের স্ত্রী হামিদার সঙ্গে আকাশ নামে অপর এক যুবকের ঘনিষ্ঠতার জের ধরেই শিশু আছিয়ার হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন।

পুলিশ আসামি হিটু শেখ এবং তাদের দুই ছেলে সজিব ও রাতুলকে মাথায় হেলমেট পরিয়ে আদালতে হাজির করলেও ওই অবস্থার মধ্য দিয়ে চিৎকার করে হিটু শেখ বলেন, আমার বিটার বউ হামিদার সঙ্গে আকাশের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার সময় শুধু তারা দুজন ছিল। তাদের ধরেন। আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। তাদের ধরলে আসল খবর পেয়ে যাবেন, তারাই আসল অপরাধী

আরও পড়ুনঃ  নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে : আমির খসরু

এর আগের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন হিটু শেখ তার ছেলের বউ হামিদাকে মূল অপরাধী বলার পাশাপাশি ঘটনার সময়ের ভিন্নতার ক্ষেত্রে প্রশ্ন রেখে মামলার সঠিক তদন্তের দাবি করেন। মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় শিশু আছিয়া। ১৩ মার্চ ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশুটি। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে সারা দেশে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামেন। স্থানীয় আইনজীবীরাও এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার দাবির পাশাপাশি আসামিপক্ষকে কোনো প্রকার আইনি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুনঃ  চেয়েছিলেন সরকারি চাকরি, হয়ে গেলেন সরকার

মামলার মূল আসামি শিশুর বোনের শ্বশুর হিটু শেখ গত ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। যেখানে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তিনি একাই জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিলেও গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মামলার চার আসামির বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ