গ্রীষ্মের চরম গরমে যেমন তরমুজ বাজারে আনন্দের সঙ্গে আসে, বর্ষা পেরিয়ে শরতের মাঝেও এখন এই রসালো ফল দেখা যাচ্ছে প্রচুর পরিমাণে। স্বাদ, মান ও সুগন্ধে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তবে প্রশ্ন জাগছে—অসময়ে এত তরমুজ কোথা থেকে আসছে?
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের আড়তদাররা জানান, মূল উৎসগুলো হলো খুলনা, নেত্রকোনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
আড়তদাররা ্জানান, অসময়ের তরমুজের চাহিদা কম নয়। এই আগ্রহ কৃষকদের সারাবছর তরমুজ চাষের উদ্দীপনা দেবে এবং রফতানির নতুন সম্ভাবনাও তৈরি করবে।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালিতে কৃষকেরা সরকারি সহায়তায় অসময়েও তরমুজ চাষ করছেন। মৌসুমি তরমুজের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় লাভও বেশি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের মার্সেলো কালো ও বাদামি তরমুজ ৬০-৬৫ দিনে তোলা যায়। খরচ বিঘাপ্রতি ৩৫-৪০ হাজার, লাভ ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় আবুবকর সিদ্দিক ৪০ শতাংশ জমিতে সুইটব্ল্যাক-২ জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। খরচ ৪০ হাজার, সম্ভাব্য আয় প্রায় ২ লাখ টাকা। নেত্রকোনার কলেজপড়ুয়া তরুণ সারোয়ার আহমেদ সাইম প্রথমবারেই সফলভাবে অসময় তরমুজ চাষ করেছেন। কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শে তিনি সঠিকভাবে সার ও বালাইনাশক ব্যবহার করেছেন।