Monday, October 13, 2025

নিয়মিত ওটস খেলে শরীরে যে পরিবর্তন ঘটে, কল্পনাও করতে পারবেন না!

আরও পড়ুন

সকালের নাশতায় চা-পরোটা বা ভাজি নয়, এখন অনেকেরই পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ওটস। একসময় কেবল বিদেশিদের খাবার হিসেবে পরিচিত থাকলেও বর্তমানে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র সহজলভ্য হয়ে উঠেছে এই পুষ্টিকর শস্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওটস আসলেই একটি সুপারফুড কারণ এটি শরীরকে শক্তি জোগানোর পাশাপাশি নানা রোগ প্রতিরোধেও কার্যকর।

ওটসে থাকা মেলাটোনিন ও জটিল কার্বোহাইড্রেট মস্তিষ্কে ট্রিপটোফ্যানের মাত্রা বাড়ায়। যা স্নায়ুকে শান্ত রাখে এবং ভালো ঘুমে সহায়তা করে।

আরও পড়ুনঃ  গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক সেই লাকির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ

বিজ্ঞাপন
ওটস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে টাইপ-২ ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর।

ওটসে রয়েছে প্রচুর দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার। যা অন্ত্র পরিষ্কার রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেলে হজমশক্তিও ভালো হয়।

হৃদরোগ প্রতিরোধ

ওটসে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ডায়েটারি ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল কমায়, অথচ ভালো কোলেস্টেরলের ক্ষতি করে না। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে ও কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমে।

আরও পড়ুনঃ  ‘আজ রাতেই’ মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল

ত্বকের যত্নে

শুধু ভেতর থেকেই নয়, বাইরে থেকেও ওটস কার্যকর। শুষ্ক, চুলকানি ও রুক্ষ ত্বকের জন্য এটি প্রাকৃতিক সমাধান। তাই অনেক প্রসাধনীতে ওটমিল ব্যবহার করা হয়। এটি হালকা এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও কাজ করে।

তাই ওজন কমানো, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণ কিংবা ত্বকের যত্ন সব ক্ষেত্রেই ওটস হতে পারে নির্ভরতার নাম।

আপনার মতামত লিখুনঃ

জনপ্রিয় সংবাদ