ভারতের আমদানিকৃত পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাস্তিযোগ্য ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ছিল ইউক্রেনে রাশিয়ার বোমা হামলা বন্ধ করার প্রচেষ্টা। এমনটাই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। খবর এনডিটিভি
তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ শেষ হবে। যদিও চলতি মাসে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে বৈঠকের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়া ছাড়া তেমন কোনো আশা দেখা যাচ্ছে না।
‘মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে’ এনবিসি নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স বলেন, তেল ভিত্তিক অর্থনীতি থেকে রাশিয়ার ধনী হওয়া ঠেকাতে ট্রাম্প ভারতের ওপর আক্রমণাত্মকভাবে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছেন।
আশাবাদ ব্যক্ত করে জেভি ভ্যান্স বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র সক্ষম হবে। আমরা সেরকম কিছু পদক্ষেপও দেখেছি।
হত্যাকাণ্ড বন্ধ করলে রাশিয়াকে পুনরায় বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন ট্রাম্প। কিন্তু তারা যদি এটি বন্ধ না করে তাহলে মস্কো অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকবে।
রাশিয়া থেকে বিশেষ ছাড়ে জ্বালানি তেল কেনার পর থেকেই নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তবে ট্রাম্প এক্ষেত্রে চীন কিংবা ইউরোপকে লক্ষ্যবস্তু বানায়নি। যদিও চীন ও ইউরোপ রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও গ্যাসের বড় আমদানি কারক।
শনিবার নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, যারা মার্কিন প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ হয়েও রাশিয়া থেকে তেল কিনছে, ঠিক একই ঘটনায় আরেক জনকে অভিযুক্ত করা খুবই হাস্যকর। রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনায় যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সমালোচনা করার জবাবে জয়শঙ্কর এমন মন্তব্য করেন।