Saturday, August 23, 2025

‘ভারত এখন বুঝেছে, চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা কেন দরকার’

আরও পড়ুন

চীনের সরকারি গণমাধ্যম সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র ভারত সফর নিয়ে খবরাখবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে।

ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে ওয়াং ই-র সীমান্ত বিবাদ নিয়ে বৈঠকের ওপরে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ওই খবরাখবরে।

চীনের গণমাধ্যমে এমনটাও লেখা হয়েছে যে, আমেরিকার দিক থেকে ভারতের ওপরে বাড়তি শুল্ক আরোপ করে যে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে ভারত তার রণনীতিতে পরিবর্তন করতে চাইছে এবং ওয়াং ই-র ভারত সফর তারই অংশ।

চীনা গণমাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী, ভারতের সঙ্গে সেদেশের মজবুত সম্বন্ধ ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর জন্য লাভজনক হবে।

এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার উন্নয়নশীল দেশগুলিকে এক কথায় ‘গ্লোবাল সাউথ’ বলে বর্ণনা করা হয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ  সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে রদবদল

‘মার্কিন শুল্কের কারণে ভারত-চীন কাছাকাছি আসছে’
চীনের সরকারি গণমাধ্যমে ওয়াং ই-র ভারত সফরকে ইতিবাচক হিসাবে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে দুটি দেশই যে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে ইচ্ছুক, সেই বিষয়টির ওপরে জোর দেওয়া হয়েছে চীনের গণমাধ্যমে। এই প্রসঙ্গেই আমেরিকা যে ‘একতরফা চাপ’ দেওয়ার নীতি নিয়েছে, সেটাও উল্লেখ করেছে চীনের সরকারি গণমাধ্যম

সরকারি ইংরেজি দৈনিক ‘চায়না ডেইলি’তে প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তিয়ানজিনে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি হিসাবেই ওয়াং ই-র ভারত সফরকে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  ১৫ জেলায় ঝড়ের সম্ভাবনা, সর্তক সংকেত

ওই সম্পাদকীয়তেই লেখা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসন যখন বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর এক শুল্ক-যুদ্ধ শুরু করেছে, তখন ভারত ‘এই কঠিন বাস্তবতা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে যে আমেরিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও মার্কিন শুল্ক থেকে রক্ষা পায় নি।’

আরও লেখা হয়েছে, “মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে টক্কর দেওয়ার অবস্থায় আছে ভারত, কারণ তারা রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে অস্বীকার করেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত কৌশলগত স্বাধীনতার গুরুত্ব বুঝতে পারছে এবং চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করছে, যাতে তাদের কৌশলগত সুবিধা পেতে পারে আবার নীতিগত নমনীয়তাও বজায় রাখতে পারে।”

আরও পড়ুনঃ  ধেয়ে আসছে অতি ভারী বৃষ্টিবলয়, তলিয়ে যেতে পারে ১০ জেলা

সরকারি সংবাদপত্র ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে যে, ভারত এশিয় বাজারের দিকে ঝুঁকছে। কারণ ‘রফতানির জন্য আমেরিকার বাজারের ওপরে তাদের অতিরিক্ত নির্ভরতা ক্রমবর্ধমান শুল্কের কারণে তাদের কাছে একটা দুর্বলতা হয়ে উঠেছে।”

জাতীয়তাবাদী সংবাদ ও প্রবন্ধের ওয়েবসাইট ‘গুয়াঞ্চা’য় প্রকাশিত একটি লেখায় ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের লিন মিনওয়াংয়ের একটি মন্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যেখানে তিনি বলেছিলেন, “আমেরিকার সঙ্গে দরকষাকষির ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভারত চীনের সঙ্গে সম্পর্কে পরিবর্তন আনতে পারে।”

তবে তিনি এও জুড়ে দিয়েছিলেন, “সম্পর্কের উন্নতিকে স্বাগত জানায় চীন কিন্তু জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে জড়িত কোনও ইস্যুতেই তারা সমঝোতা করবে না।”

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ