Tuesday, April 8, 2025

হাসনাত-সারজিসের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে যা জানা গেল

আরও পড়ুন

সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। বুধবার (২৭ নভেম্বর) অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এর আগে চট্টগ্রাম মহানগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে সাইফুল ইসলাম আলিফের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সারজিস আলম।

এদিকে সড়ক দুর্ঘটনার পর তাদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে অধীর আগ্রহে রয়েছেন দেশবাসী। এ নিয়ে রাত ১০টায় আহমাদ উল্লাহ সাকিব এক পোস্টের মাধ্যমে জানান, আলহামদুলিল্লাহ হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাই ও সারজিস আলম ভাই সবাই ভালো আছেন। কোন আহত হয় নাই। গাড়ির বেশি ক্ষতি হয়েছে। ট্রাকের ড্রাইভার ও হেল্পা লোহাগাড়া থানায় রয়েছে। লোহাগাড়া থানায় তদন্ত করা হচ্ছে। দোয়া করবেন।

আরও পড়ুনঃ  গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৪

একই সময়ে সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ এক পোস্টের মাধ্যমে জানান, শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ ভাইয়ের কবর জেয়ারত করে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমের গাড়ি বহরে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা চেষ্টা করা হয়।

তিনি আরও লেখেন, প্রাথমিক তদন্তে ড্রাইভার ময়মনসিংহ থেকে কক্সবাজারে মালামাল খালাস করে আসার কথা বললেও মাল খালাসের কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি। অতীতে ভারতীয় র কর্তৃক বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক ব্যক্তিকে হত্যা করার নজির রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  বয়কটে তরমুজ ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত, দাম নেমেছে অর্ধেকে

জানা যায়, দাফনের পর অ্যাডভোকেট সাইফুলের কবর জিয়ারত করেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।

নিহত আইনজীবীর সাইফুল ইসলাম আলিফ সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ছিলেন। আলিফ লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন আইনজীবীরা। মঙ্গলবার জেলা আইনজীবী সমিতির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ  চট্টগ্রামে বস্তিতে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

এদিকে, আইনজীবীকে হত্যার ঘটনায় চট্টগ্রামে রাতভর অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এ ঘটনায় নগরের কোতোয়ালি থানায় দুইটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ