Monday, September 15, 2025

শেখ হাসিনার ভুয়া পদত্যাগপত্র ভাইরাল, ক্ষুব্ধ আ.লীগ

আরও পড়ুন

ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেখ হাসিনার পদত্যাগসংক্রান্ত একটি পত্র ভাইরাল হয়েছে। তবে, এই ‘পদত্যাগপত্র’-কে ভুয়া দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সমালোচনা করেছে দলটি।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে শেখ হাসিনার পদত্যাগসংক্রান্ত পত্রটি ভুয়া দাবি করে দলটি।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের টিভি চ্যানেলের ফেসবুকে এরকম অপরিপক্ব এডিটেড কোনো পদত্যাগপত্র প্রকাশ, একটি দৈন্যতামাত্র।

পোস্টে বলা হয়, পদত্যাগপত্রে এখনো মুজিববর্ষ লোগো লাগিয়ে রেখেছে, যেই মুজিববর্ষ ২০২১ সালে শেষ! এ ছাড়া ভুয়া এই পদত্যাগপত্রটি অত্যন্ত অস্পষ্ট। পদত্যাগপত্রের ভাষায় যা মন চায় তা লিখে পাবলিশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  খেলতে খেলতে ভাই-বোনের বিষপান, বোনের মৃত্যু

ওই পত্রে শেখ হাসিনার স্বাক্ষরটিও গুগল থেকে নেওয়া দাবি করে বলা হয়, এতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মূল পেজের সঙ্গে স্বাক্ষরের অংশের পিক্সেলের পার্থক্য রয়েছে। আর ৫ আগস্ট ছিল ২১ শ্রাবণ, কিন্তু পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে ২০ শ্রাবণ!

পোস্টে আরও বলা হয়, দেশের মিডিয়াকে এরকম নগ্নভাবে ব্যবহার করে নিজেদের হাসির পাত্র বানাবেন না। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার যে আনুষ্ঠানিকতা সেই সময় নেননি। তিনি সোজা তেজগাঁও থেকে বিমানে করে ভারতে গেছেন। এইসব বাদ দিয়ে বরং দেশের সমস্যা সমাধান করার আহ্বান জানাচ্ছি।

আরও পড়ুনঃ  ‘অস্ত্রোপচার’ হচ্ছে ৯ ব্যাংকের, প্রথমেই ইসলামী ব্যাংক

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া পদত্যাগ পত্রে লেখা আছে, আমি গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাতে চাই, সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে যেখানে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং আর কোনো প্রাণহানি এড়ানোর জন্য আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করছি। এ ঘটনাগুলোতে আমি সম্পূর্ণ দায়িত্ব স্বীকার করছি এবং এ দেশের জনগণের নিরাপত্তা ও কল্যাণের প্রতি আমার অঙ্গীকার সবসময় অটুট থাকবে।

গত পনেরো বছর ধরে আমি আপনাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি, যা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি প্রমাণ করছে, এ মুহূর্তে দেশকে এগিয়ে নিতে অন্য নেতৃত্বের প্রয়োজন। আমি আশা করি, আমার পদত্যাগ বাংলাদেশের উন্নয়নের নতুন পথ খুলে দেবে এবং শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুনঃ  শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনে করে ভারত

পত্রের শেষ পর্যায়ে লেখা রয়েছে, এই কঠিন সময়ে আমার সরকার যা কিছু করেছে, তার জন্য আমি গভীরভাবে অনুতপ্ত। আমি সব বাধ্যবাধকতা মেনে নিচ্ছি এবং এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বৃহত্তর স্বার্থে নিয়েছি।

প্রসঙ্গত, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর খোদ শেখ হাসিনা এক বার্তায় দাবি করেছেন যে, তিনি পদত্যাগ করেননি। তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ও একাধিকবার দাবি করেছেন যে, তার মা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ