Friday, August 1, 2025

বন্দুক হাতে ঈদের খুতবা দিলেন আয়াতুল্লাহ খামেনি

আরও পড়ুন

সিরিয়ায় ইরানি দূতাবাসে ইসরায়েলি বিমান হামলাকে কেন্দ্র করে প্রতিশোধের নেশায় উত্তাল হয়ে আছে গোটা ইরান। তেহরানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে এ হামলার জবাব দেওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এমন হুমকিতে বেশ কাবু হয়ে আছে তেলআবিবও।

ইতোমধ্যে ইসরায়েলকে লৌহবর্মের সুরক্ষা দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমেরিকা। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই বন্দুক হাতে দেখা গেল ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে।

গত বুধবার (১০ এপ্রিল) মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে উদযাপন হয়েছে ঈদুল ফিতর। এদিন রাজধানী তেহারনের গ্র্যান্ড মোসাল্লা মসজিদে ঈদের নামাজে ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

আরও পড়ুনঃ  তেল আবিবে ঢুকে গেল দুটি ড্রোন, অতঃপর

ঈদের খুতবা দেওয়ার সময় আলী খামেনির বাম হাতে ছিল অত্যাধুনিক বন্দুক ও সামনে মাইক্রোফোন। এমন একটি ছবি প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

এদিন ইরানের সর্বোচ্চ এ নেতার ঈদের খুতবার প্রধান আলোচ্য ছিল গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলার বিষয়টি।

খুতবায় তিনি বলেন, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলা চালানোর জন্য ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে শাস্তি পেতেই হবে। ইসরায়েল ইরানের দূতাবাসে হামলা চালিয়ে মূলত তারা ইরানের ভূখণ্ডেই হামলা চালিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  এবার ইরানে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করল ইসরাইল

আলী খামেনী বলেন, পশ্চিমা সরকারগুলো কথিত পশ্চিমা সভ্যতার নষ্ট চরিত্র প্রকাশ করে দিয়েছে। তারা মায়ের কোলে থাকা সন্তানদের ও হাসপাতালে থাকা রোগীদের হত্যা করেছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে পেরে না উঠে তারা বয়স্ক ব্যক্তি, নারী ও শিশুসহ ত্রিশ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে।

গত ১ এপ্রিল দামেস্কে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের এলিট ফোর্স আইআরজিসির তিন শীর্ষ জেনারেলসহ অন্তত ৮ সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন।

এরপর খামেনি জানান, এ হামলার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

এমন হুমকির পর ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানান, ইরান যদি ইসরায়েলে আক্রমণ করে তাহলে ইসরায়েলও ইরানে আক্রমণ করবে।

আরও পড়ুনঃ  বিক্ষোভে উত্তাল কেনিয়ার সংসদ ভবনে আগুন, গুলিতে নিহত অন্তত ১০

এদিকে এমন আশঙ্কায় ইসরায়েলকে লোহবর্মের মতো সুরক্ষা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জানান, ইসরায়েলকে রক্ষা করতে যা যা করা দরকার তার সবই করবে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান এবং তার প্রক্সিদের কাছ থেকে যত হুমকি বা হামলা আসুক, ইসরায়েলকে সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র লৌহবর্ম হয়ে থাকবে। গাজা যুদ্ধ নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও, ইসরাইলের ওপর যে কোনো আক্রমণকে ইসরায়েলের হয়ে মোকাবিলা করবে যুক্তরাষ্ট্র।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ