Monday, October 13, 2025

যে দেশকে মানচিত্র থেকে মু*ছে দেওয়ার হুম*কি দিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান

আরও পড়ুন

সন্ত্রাসবাদ সমর্থন বন্ধ না করলে মানচিত্র থেকে পাকিস্তানের অস্তিত্ব মুছে ফেলার কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলেছেন, যদি পাকিস্তান মানচিত্রে তাদের অবস্থান ধরে রাখতে চায়, তবে তাদের অবশ্যই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাজস্থানের অনুপগড়ে একটি সামরিক ঘাঁটিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন জেনারেল দ্বিবেদী।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় মদদে জঙ্গিগোষ্ঠী পোষার অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘ইসলামাবাদ যদি সন্ত্রাস রপ্তানি বন্ধ না করে, তবে অপারেশন সিঁদুরের দ্বিতীয় সংস্করণ আর বেশি দূরে নয়। এবার ভারতীয় বাহিনী কোনো দয়া দেখাবে না।’

জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, ‘আমরা অপারেশন সিঁদুরে (১.০) যে দয়া দেখিয়েছি, আর তা দেখাব না। এবার আমরা এমন কিছু করব, যা পাকিস্তানকে ভাবতে বাধ্য করাবে যে তারা তাদের ভৌগোলিক অবস্থান ধরে রাখতে চায় কি না। যদি পাকিস্তান মানচিত্রে নিজেদের স্থান ধরে রাখতে চায়, তবে অবশ্যই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে।’

আরও পড়ুনঃ  ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে কী বলছে জামায়াত

তিনি ভারতীয় সেনাসদস্যদেরও প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। সেনাপ্রধান বলেন, ‘ভগবানের ইচ্ছা থাকলে, আপনারা শিগগির একটি সুযোগ পাবেন। শুভকামনা রইল।’

সেনাপ্রধান জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের লক্ষ্য ছিল, কোনো নিরীহ জীবন যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসীদের গোপন আস্তানা, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং তাদের মাস্টারমাইন্ডদের নিশ্চিহ্ন করা।

জেনারেল দ্বিবেদী আরও বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের সময় ধ্বংস হওয়া সন্ত্রাসী আস্তানাগুলোর প্রমাণ ভারত বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করেছে। আমরা যদি এটা না করতাম, তবে পাকিস্তান সত্য গোপন করত।’

আরও পড়ুনঃ  ট্রেনের নিচে পড়েও বেঁচে ফিরলেন বৃদ্ধা

অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান অপারেশন সিঁদুরে অবদানের জন্য তিন কর্মকর্তাকে সম্মানিত করেন। বিএসএফের ১৪০তম ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট প্রভাকর সিং, রাজপুতানা রাইফেলসের মেজর রিতেশ কুমার এবং হাবিলদার মোহিত গায়রা এই বিশেষ সম্মানে ভূষিত হন।

প্রসঙ্গত, পেহেলগাম হামলার জবাব দিতে গত ৬ মে রাতে অপারেশন সিঁদুর নামে একটি অভিযান পরিচালনা করেছিল ভারত। পরদিন ৭ মে রাতে ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তানও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ভারতের দাবি, এই অভিযানে তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধ্যুষিত আজাদ কাশ্মীরের ভেতরে ৯টি সন্ত্রাসী আস্তানা লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যার মধ্যে লস্কর-ই-তাইয়েবার সদর দপ্তরও ছিল।

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান চার দিনের সংঘাত যখন ভয়াবহ মোড় নিচ্ছিল, তখন আকস্মিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১০ মে ঘোষণা দেন, পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতির পরই উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘাত বন্ধ হয়।

আরও পড়ুনঃ  উত্তেজনার মধ্যেই ইসরাইলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, অন্তত ১৪ ইসরাইলি সেনা আহত

কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। তবে গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর নতুন করে দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ওই হামলায় ২৫ পর্যটক এবং একজন স্থানীয় গাইড নিহত হন। একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও পরে তারা অস্বীকার করে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে; ইসলামাবাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করে। এর পর থেকে দেশ দুটি একের পর এক পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। প্রথমে এটি কূটনৈতিক পর্যায়ে থাকলেও দ্রুত সামরিক সংঘাতের দিকে মোড় নেয়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

জনপ্রিয় সংবাদ