বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ এবং পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলেও ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়নি।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, কিছু কিছু গণমাধ্যম ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
তিনি আরও বলেন, অঞ্চলভেদে আবহাওয়া সংক্রান্ত পরিভাষাগুলো ভিন্ন হতে পারে। যেমন, উত্তর আটলান্টিক অঞ্চলে তৈরি হওয়া ঝড়কে হারিকেন বলা হয় কিন্তু আমাদের অঞ্চলে বলা হয় সাইক্লোন। একইভাবে আমাদের এখানে আবহাওয়া পরিস্থিতি বর্ণনার কিছু আলাদা ক্যাটাগরি আছে। তারা যে সতর্কবার্তা প্রকাশ করেছে সেটা হয়তো আক্ষরিক অনুবাদ করলে ‘ঘূর্ণিঝড়’ দাঁড়ায়, কিন্তু তাতে প্রকৃত অবস্থা বুঝায় না।
এজন্য আবহাওয়া সংক্রান্ত পরিভাষা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের অনুরোধ জানিয়ে আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এই গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ সৃষ্টি হয়েছে- এমন সংবাদ দুপুর থেকে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওইসব প্রতিবেদনে মার্কিন নৌবাহিনী পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টারের বরাতে জানানো হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় অবস্থান করছে।