Wednesday, October 8, 2025

যাকে প্রধানমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা!

আরও পড়ুন

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, আমি অনেকবার প্রস্তাব পেয়েছিলাম, ১৯৯৫ সাল থেকে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত যখন কেয়ারটেকার সরকার পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে তখন আমি যোগাযোগমন্ত্রী ছিলাম।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারই চাচা হাফিজ এবং আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম আ.খ.ম জাহাঙ্গীরকে আমার কাছে পাঠিয়েছিলেন। তারা দুজনই আমার বাসায় এসেছিলেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার একাধিকবার কথাও হয়েছিল। তারা আমাকে বলেছিলেন একটা পার্লামেন্টের ক্যু হবে।

ক্যুর পক্ষে আওয়ামী লীগের তখন সদস্য ছিল ১৪৩ জন আর বিএনপির ৪০ জন। মোট ১৮৩ জন একত্রিত হয়ে পার্লামেন্টে একটা বিল উত্থাপিত হবে। সেই বিলের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পদচ্যুত করা হবে এবং আমি নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেব।

আরও পড়ুনঃ  শেখ হাসিনার বিচার চাঞ্চল্যকর বার্তা দিলেন মির্জা ফখরুল

কিছুদিন আগে জনপ্রিয় উপস্থাপক খালেদ মুহিউদ্দীনের লাইভ টক শো ঠিকানা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় খালেদ মুহিউদ্দিনের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন কর্নেল অলি। ভিডিওটি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই এটি লাইক ও শেয়ার দিচ্ছেন।

আরও পড়ুনঃ বছর শেষে জাতীয় নির্বাচন চায় জামায়াত : রেজাউল করিম
কর্নেল (অব.) অলি বলেন, আমার সঙ্গে মোট তিন দিন এটা নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রথম দুদিন আমি রাজি হয়েছিলাম। তৃতীয় দিন আমি চিন্তা করলাম আমাকে বেগম জিয়া যোগাযোগমন্ত্রী বানিয়েছেন। যদিও আল্লাহর হুকুমে আমি হয়েছি। তারপরও তিনি আমার প্রধানমন্ত্রী। তার সঙ্গে যদি আমি এ ধরনের একটা বেঈমানি করি, একটা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আগামী দিনে মানুষ আমার সম্পর্কে বা মুক্তিযুদ্ধ সম্বন্ধে খারাপ ধারণা পোষণ করবে।

আরও পড়ুনঃ  নতুন পে-স্কেল কার্যকর হলে বেতন বাড়বে যে হারে

তিনি বলেন, আমি নিজেই জায়নামাজে গিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলাম, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমি এই ধরনের একটা লোভে পড়েছি প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছি কালকে সকালে। পরে আমি কিন্তু তৃতীয় দিন রাতে তাদের এই প্রস্তাবে রাজি হই নাই। তখন আ.খ.ম জাহাঙ্গাীর আমাকে অনুরোধ করলেন রাতে দেড়টায় যেন আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে দেখা করি। তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বললাম এবং আমি তাকে বললাম আপনি যে এ কাজের জন্য যোগ্য মনে করেছেন এজন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ মোবারকবাদ জানাচ্ছি। তবে আমি বিএনপির সঙ্গে এবং বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বেঈমানি করতে পারব না। আমি এই পদ তখন রিফিউজ করেছিলাম।

আপনার মতামত লিখুনঃ

জনপ্রিয় সংবাদ