Monday, October 13, 2025

প্রস্তাবিত নতুন ২ বিভাগে থাকছে যেসব জেলা

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের মানচিত্রে আরও দুটি বিভাগ যুক্ত হয়ে মোট ১০টি বিভাগ প্রতিষ্ঠার দিকে এগোচ্ছে সরকার। নতুন দুই বিভাগ হিসেবে ফরিদপুর ও কুমিল্লা জেলার নাম এসেছে। ফলে পদ্মা-মেঘনা নামে কোনো বিভাগ হচ্ছে না। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় নতুন দুটি উপজেলা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন শেষে প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফেরার পর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নিকার বৈঠক হতে পারে।

বর্তমানে দেশে আটটি প্রশাসনিক বিভাগ আছে। সেগুলো হলো—ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ। এর মধ্যে সর্বশেষ ২০১৫ সালে ময়মনসিংহকে বিভাগ হিসেবে উন্নীত করেছে সরকার। এর পাশাপাশি কুমিল্লার মুরাদনগর ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা ভেঙে নতুন দুটি উপজেলা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ছেলের দায়ের কোপে মা নিহ*ত

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এরই মধ্যে ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলা নিয়ে ফরিদপুর বিভাগ গঠন এবং কুমিল্লা বিভাগের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর নাম প্রস্তাব করেছে।

সূত্র জানায়, চলতি মাসে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠক হতে পারে এবং সেখানেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গত ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রি-নিকার বৈঠকে ফরিদপুর ও কুমিল্লা নামে নতুন দুটি প্রশাসনিক বিভাগ এবং কুমিল্লার মুরাদনগর ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা ভেঙে নতুন দুটি উপজেলা গঠনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়।

আরও পড়ুনঃ  ‘আওয়ামী লীগের জন্য দুটি পথ খোলা আছে’

মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানাধীন ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে ‘বাঙ্গরা উপজেলা’ এবং ফটিকছড়ি ভেঙে ‘ফটিকছড়ি উত্তর’ নামে উপজেলা সৃষ্টির খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বর্তমানে মুরাদনগর উপজেলার অধীনে মোট ২২টি ইউনিয়ন রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নিকার বৈঠকে বৃহত্তর ফরিদপুরের কয়েকটি জেলা নিয়ে ‘পদ্মা বিভাগ’ এবং কুমিল্লা ও আশপাশের জেলাগুলো নিয়ে ‘মেঘনা বিভাগ’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উঠলেও চূড়ান্ত অনুমোদন মেলেনি।

আরও পড়ুনঃ  স্ত্রী ও সন্তানের যত্নে সরকারি কর্মচারীদের জন্য আসছে ১৫ দিনের ছুটি

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, অর্থনৈতিক সংকটের শঙ্কায় বিভাগ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব স্থগিত রাখা হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতেও নতুন বিভাগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

সাবেক এক সচিব বলেন, বিভাগ গঠিত হলে আমলাতান্ত্রিক কিছু পদ সৃষ্টি হবে। আর জনগণের খরচের খাত বাড়বে। অন্যদিকে স্থানীয় রাজনীতিকরা শহর প্রতিষ্ঠার নামে নতুন প্রকল্পের সুযোগ পাবেন। এসবে জনস্বার্থ নেই। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক ঘণ্টার নোটিশে ৬৪ জেলার ডিসিদের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠকে করতে পারে, ভিডিও কনফারেন্স করতে পারে। এই সময়ে বিভাগীয় প্রশাসন আরো বাড়ানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

আপনার মতামত লিখুনঃ

জনপ্রিয় সংবাদ