Monday, October 13, 2025

শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধ্বসে পড়েছে বহু ভবন, নি*হত ২৬

আরও পড়ুন

ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে সেবু দ্বীপ। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৯। এতে দ্বীপটির বিভিন্ন এলাকায় বহু ভবন ধসে পড়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৬ জন। দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজ চলছে এবং নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে সেবু দ্বীপের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত বোগো শহরের কাছে। শহরটিতে প্রায় ৯০ হাজার মানুষের বসবাস। এখানেই চার শিশুসহ নয়জন নিহত হয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে তিনজনের বাড়ি ভূমিধসে চাপা পড়েছে।

আরও পড়ুনঃ  চাকরি ফিরে পেলেন সেই ইমাম, বাড়ছে বেতনও

বোগো শহরের কাছাকাছি সান রেমিগিও পৌর এলাকায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তাবুয়েলানে এলাকায়ও একজনের মৃত্যু হয়েছে। সান রেমিগিও এলাকার একটি খেলাধুলার স্থান থেকে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন ফিলিপাইন কোস্টগার্ডের সদস্য। একই এলাকার আরেক স্থানে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে এক শিশু মারা গেছে।

বিজ্ঞাপন
স্থানীয় উদ্ধারকারী দলের কর্মকর্তা উইলসন রামোস বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ধসে পড়া ভবনের নিচে আরও মানুষ চাপা পড়ে থাকতে পারেন। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে। তবে কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, সে সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত নন। রাতের অন্ধকার এবং ভূমিকম্প-পরবর্তী একাধিক পরাঘাতের কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ৫ ভোটকেন্দ্রে বোমা হামলার হুমকি

বিজ্ঞাপন

ভূমিকম্পের প্রভাবে বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থায় ব্যাপক ধ্বংস সাধিত হয়েছে। এতে সেবু শহরসহ আশপাশের এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে মধ্যরাতের পর ফিলিপাইনের ন্যাশনাল গ্রিড করপোরেশন জানিয়েছে, সেবুসহ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।

বিজ্ঞাপন
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছে অবস্থিত বানতাইয়ান শহরের ২৫ বছর বয়সী বাসিন্দা মারথাম প্যাসিলান বলেন, ভূমিকম্পের সময় তিনি একটি ক্ষতিগ্রস্ত গির্জার কাছে ছিলেন। হঠাৎ তিনি গির্জার দিক থেকে বিকট শব্দ শুনতে পান এবং দেখতে পান পাথর ভেঙে পড়ছে। তবে সৌভাগ্যবশত কেউ আহত হননি।

আরও পড়ুনঃ  সাঁতার জানার পরও কেন সুইমিংপুলে ডুবে মারা গেলেন ঢাবি ছাত্র সোহাদ?

মারথাম বলেন, ‘আমি একই সঙ্গে হতবাক ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। শরীর নাড়াতে পারছিলাম না। কেবল কম্পন থামার অপেক্ষায় ছিলাম।’

আপনার মতামত লিখুনঃ

জনপ্রিয় সংবাদ