Tuesday, October 7, 2025

শনিবারেই ইসলামী ব্যাংকের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা

আরও পড়ুন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে পরীক্ষার আয়োজন করতে ইসলামী ব্যাংকে লিখিত আদেশ দিয়েছে গত বৃহস্পতিবার।

একইসঙ্গে বিদ্যমান আইন ও বিধানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ইসলামী ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে পরীক্ষায় ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কর্মকর্তার অংশগ্রহণের বাধা রইল না।

জানা গেছে, ইসলামী ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগ গত ১৪ আগস্ট পরীক্ষার তারিখ ২৯ আগস্ট নির্ধারণ করেছিল। পরে ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার মো. হানিফ ২৭ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করলে আদালত বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ২৫ সেপ্টেম্বর জানায়, বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া না নেওয়া ইসলামী ব্যাংকের নিজস্ব এখতিয়ার। এ সিদ্ধান্তে পরীক্ষা আয়োজনের পথে আর কোনো বাধা রাখল না।

আরও পড়ুনঃ  নির্বাচন বৈধ না হলে তা আয়োজনের কোনো অর্থ নেই: ড. ইউনূস

হাইকোর্টের নির্দেশনার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ইসলামী ব্যাংক একটি বেসরকারি মালিকানাধীন লাভজনক প্রতিষ্ঠান। তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি দেশের প্রচলিত আইন, বিধি-বিধান ও নিয়োগের শর্ত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সেহেতু কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন কিংবা কাউকে রাখা-না রাখার সিদ্ধান্ত ব্যাংকের এখতিয়ারভুক্ত। তবে এ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রচলিত আইন ও বিধি মেনে চলতে হবে বলে ব্যাংকটিকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এদিকে পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন। এতে আট শতাধিক কর্মকর্তা অংশ নেন। বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এ পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  টকশো শেষেও উপস্থাপিকার সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন বিচারপতি মানিক

তারা বলেন, পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে চাকরি টিকবে না এবং ক্যারিয়ারে কোনো উন্নতির সুযোগ থাকবে না—নোটিশে এমন উল্লেখ করে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে।

মানববন্ধনে ব্যাংক কর্মকর্তা এসএম এমদাদ হোসাইন জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ একই ব্যাচের অন্য অঞ্চলের কর্মকর্তাদের পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে না। পাঁচ থেকে সাত বছর চাকরির পর হঠাৎ এমন পরীক্ষা সম্পূর্ণ অনৈতিক।

আপনার মতামত লিখুনঃ

জনপ্রিয় সংবাদ