Monday, October 13, 2025

এখন ১০০ বছরের পুরাতন এবং হারানো জমির দলিলও খুব সহজেই খুঁজে পাবেন যেভাবে

আরও পড়ুন

হারিয়ে যাওয়া বা শত বছরের পুরোনো জমির দলিল এখন আর দালালের মাধ্যমে তুলতে হবে না। সরকারের নতুন উদ্যোগে নাগরিকরা চাইলে খুব সহজেই সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, জেলা রেকর্ড রুম অথবা ন্যাশনাল আর্কাইভ থেকে সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ। দলিল হারালে প্রথমে নিকটস্থ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যোগাযোগ করে দলিলের কপি তোলা সম্ভব। পাঁচ বছরের বেশি পুরোনো দলিল জেলা রেকর্ড রুমে পাওয়া যাবে, আর শত বছরের পুরোনো দলিল ন্যাশনাল আর্কাইভে সংরক্ষিত আছে।

আরও পড়ুনঃ  স্ত্রীকে হত্যা করে মসজিদের সিঁড়ির নিচে পালিয়েছিল মুয়াজ্জিন

অনলাইন সুবিধা
কিছু জেলায় ইতোমধ্যে পুরোনো দলিল স্ক্যান করে অনলাইনে সংরক্ষণ করা হয়েছে। সেসব অঞ্চলের মানুষ মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে সহজেই সার্টিফাইড কপির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

খরচ
২০২৫ সালের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী—

আবেদন ফি: ১০–২০ টাকা

সার্টিফাইড কপি: প্রতি পৃষ্ঠা ৩৫ টাকা

সার্চ ফি: জেলা ভেদে ৫০–২০০ টাকা

সত্যায়ন/নোটারি ফি: ৫০–২০০ টাকা

যদি দলিল নম্বর জানা থাকে তবে খরচ ১০০–২০০ টাকার মধ্যে শেষ হয়। দলিল নম্বর জানা না থাকলে জমির বিবরণ দিয়ে খোঁজ করতে হলে খরচ ২০০–৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  নারীরা নারীই থাকুক, কেন তাদের পুরুষের মতো হতে হবে: রাইসির স্ত্রী

সময়সীমা
দলিল নম্বর থাকলে: ৫–৭ কর্মদিবস

দলিল নম্বর না থাকলে: ১৫–২০ কর্মদিবস বা তার বেশি সময় লাগতে পারে।

সতর্কতা
দালাল বা ব্রোকারদের কাছে যাবেন না।

সবসময় রিসিভ কপি নিজের কাছে রাখবেন।

দলিল পেলে সেটি ডিজিটাল কপি করে নিরাপদে সংরক্ষণ করুন।

আইনি পথ
সবশেষে, যদি কোনোভাবেই দলিল পাওয়া না যায় বা কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে গায়েব করে, তাহলে অভিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে সিভিল কোর্টে মামলা (ডিক্লারেশন স্যুট) করে দলিলের অস্তিত্ব প্রমাণ করা এবং আদালতের মাধ্যমে কপি সংগ্রহ করা সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ  ৩ মাস পর যে কৌ*শলে দেশ ছাড়েন কা*দের, এখন যেখানে আ*ছেন?

মদ্দা কথা: দলিল যত পুরোনোই হোক, তা হারিয়ে গেলে আর দালালের পেছনে ছুটতে হবে না। এখন সরকারি দপ্তর থেকেই সহজে পাওয়া যাচ্ছে সার্টিফাইড কপি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

জনপ্রিয় সংবাদ