Wednesday, October 8, 2025

এবার আরও সহজ হলো জমির নামজারি, জানুন উপায়

আরও পড়ুন

জমির মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে ভূমি মন্ত্রণালয় চালু করেছে আধুনিক ও সহজতর অনলাইন নামজারি ব্যবস্থা। এখন থেকে মাত্র তিনটি সহজ পদ্ধতিতে ঘরে বসেই নামজারি, মিউটেশন ও খাজনা খারিজ করা যাবে। মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিপত্র অনুযায়ী, এই সেবা গ্রহণে দালাল কিংবা সরকারি দপ্তরে ঘোরাঘুরি করার প্রয়োজন নেই।

নামজারি কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ? নামজারি একটি আইনি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে জমির মালিকানা পূর্বতন মালিক থেকে নতুন মালিকের নামে সরকারিভাবে রেকর্ডভুক্ত হয়। নামজারি না করালে ভবিষ্যতে জমি নিয়ে বিরোধ বা জালিয়াতির শিকার হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তিনটি পদ্ধতিতে অনলাইন নামজারি: ১. জমা ভাগ না করেই নামজারি (যৌথ মালিকানা):

আরও পড়ুনঃ  আনার হত্যা; নেপালে ডিবি, সিয়াম আটক

ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে যদি কোনো আপোষ বণ্টন না হয়, তবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওয়ারিশ কায়েম সনদ, জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইনে জমা দিয়ে সবাই মিলে যৌথভাবে নামজারি করা যাবে। এতে করে প্রত্যেকে তার অংশ অনুযায়ী মালিকানা পাবেন।

২. জমা ভাগ করে নামজারি (একক মালিকানা):
যদি ওয়ারিশগণ নিজেদের মধ্যে জমি ভাগ করে নিতে চান, তবে আপোষ বণ্টননামা দলিল করে তা নির্দিষ্ট করে নিতে হবে। এরপর সেই দলিলের ভিত্তিতে প্রত্যেকে তার নিজ নিজ অংশে একক মালিকানার নামজারি করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ  খালাস পেতে পেশকারকে ঘুষ দেয়ার ভিডিও ফেসবুকে দিলেন ফাঁসির আসামি

৩. স্বয়ংক্রিয় নামজারি (অটোমেটেড সিস্টেম):
বর্তমানে দেশের ২১টি উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে স্বয়ংক্রিয় নামজারি ব্যবস্থা। এতে করে সাবরেজিস্ট্রার অফিসে দলিল রেজিস্ট্রির সময়ই সমস্ত তথ্য এসিল্যান্ড অফিসে চলে যাবে এবং নতুন মালিকের নামে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারি হয়ে যাবে আবেদন ছাড়াই।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই অটোমেটেড নামজারি সিস্টেম জুলাই ২০২৫-এর মধ্যে দেশের সব উপজেলায় চালু হবে।

সরকারি সতর্কতা:
ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় দালাল বা তৃতীয় পক্ষের প্রয়োজন নেই। প্রতারণার শিকার না হতে সরাসরি www.land.gov.bd বা সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস থেকে তথ্য নিয়ে অনলাইন আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

জনপ্রিয় সংবাদ