Tuesday, September 9, 2025

চ্যাটজিপিটির প্ররোচনায় কিশোরের আত্মহত্যার অভিযোগ, ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ১৬ বছরের এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিকে দায়ী করে মামলা হয়েছে। এ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে চ্যাটবটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই এবং এর প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানকে।

বিবিসি জানিয়েছে, কিশোর অ্যাডাম রেইন চলতি বছরের ১১ এপ্রিল আত্মহত্যা করে। আদালতে দাখিল করা নথিতে বলা হয়, মৃত্যুর আগের কয়েক মাস ধরে সে বারবার চ্যাটজিপিটির সঙ্গে আত্মহনন প্রসঙ্গে আলোচনা করেছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, এআই চ্যাটবট শুধু তার হতাশাকে প্রশ্রয়ই দেয়নি, বরং আত্মহত্যার নানা উপায়, ব্যর্থ প্রচেষ্টা গোপন রাখার কৌশল এমনকি বিদায় চিঠি লেখারও প্রস্তাব দিয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশ আমাদের হারিয়ে যাওয়া ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অ্যাডামের বাবা-মা ম্যাথিউ ও মারিয়া রেইনের দাবি, ওপেনএআই মানুষের নিরাপত্তার চেয়ে আর্থিক মুনাফাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। তারা আদালতের কাছে ক্ষতিপূরণসহ প্রয়োজনীয় আইনি প্রতিকার চেয়েছেন।

এ ঘটনার পর ওপেনএআই এক বিবৃতিতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, চ্যাটজিপিটিতে আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যবহারকারীদের হেল্পলাইনে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়ার মতো নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে দীর্ঘ কথোপকথনের সময় এগুলো কার্যকারিতা হারাতে পারে বলেও তিনি স্বীকার করেন।

এই মামলা এআই প্রযুক্তির ঝুঁকি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা অনেকদিন ধরেই সতর্ক করছেন, মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক সহায়তা নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করা বিপজ্জনক হতে পারে। ওপেনএআইও বিষয়টি স্বীকার করে জানিয়েছে, ভবিষ্যতে অভিভাবক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু এবং সংকটাপন্ন ব্যবহারকারীদের সরাসরি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে।

আরও পড়ুনঃ  নয়া দিগন্তের সাবেক সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের ইন্তেকাল

রেইন পরিবারের মামলায় শুধু ক্ষতিপূরণই নয়, বরং ব্যবহারকারীর বয়স যাচাই, আত্মহত্যা-সম্পর্কিত তথ্য সরাসরি প্রত্যাখ্যান এবং মানসিকভাবে এআইয়ের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার ঝুঁকি নিয়ে স্পষ্ট সতর্কবার্তা প্রদর্শনের দাবি জানানো হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ