টানা ৩০ দিন জেলে থাকলেই মন্ত্রিত্ব শেষ ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় নতুন একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করা এবং জনগণের আস্থা বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।
বুধবার (২০ আগস্ট) লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ‘সংবিধান সংশোধনী বিল’ উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবে বলা হয়, গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে অন্তত ৩০ দিনের জন্য জেলে থাকলে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য কোনো মন্ত্রীকে পদ হারাতে হবে।
তবে এই বিলের কড়া সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারা বলছেন, নতুন এই বিলের মাধ্যমে হিটলারি কায়দায় গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হানা হচ্ছে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বিলটির বিরোধিতা করে বলেন, দেশ মধ্যযুগে ফিরে যাচ্ছে। তখন রাজা যাকে খুশি সরিয়ে দিতেন। আজও একই অবস্থা তৈরি করা হচ্ছে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে হাতিয়ার করে বিরোধী রাজনীতিবিদদের এক মাস আটক রেখে অপসারণের আশঙ্কার কথাও বলেন রাহুল। তিনি বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মর্যাদা ধ্বংস করে বিজেপি ক্ষমতাকে সর্বগ্রাসী করতে চাইছে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিবিআই ও ইডির হাতে সীমাহীন ক্ষমতা তুলে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে বিচারব্যবস্থার অধিকার খর্ব হবে এবং সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধসে পড়বে। তার মতে, এই বিল জরুরি অবস্থার চেয়েও ভয়ংকর।