Thursday, August 7, 2025

৬ আগস্ট সেনাবাহিনীতে ক্যু করে জরুরি অবস্থা চেয়েছিলেন জেনারেল মুজিব

আরও পড়ুন

বহুল আলোচিত লেফটেন্যান্ট জেনারেল (বরখাস্ত) মুজিবুর রহমান গত বছরের ৫ আগস্টের বেশ কিছুদিন পর ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। বাংলাদেশে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ নেটওয়ার্কের মূল ব্যক্তি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করতেন। পালানোর আগে তিনি আর্মি সিকিউরিটি ইউনিটের নজরদারিতে ছিলেন।

সূত্র মতে, বর্তমানে জেনারেল মুজিব দিল্লিতে অবস্থান করছেন এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের পতন ঘটিয়ে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের নাশকতার পেছনে জেনারেল মুজিবের যোগসূত্র রয়েছে। দিল্লিতে অবস্থান করা আরেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) আকবর এবং পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুলও তার সঙ্গে কাজ করছেন। অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর পলাতক সাবেক ডিজিএফআই প্রধান আকবর একদিনের জন্য সম্প্রতি ঢাকা ঘুরে গেছেন।

আরও পড়ুনঃ  ‘গুলি করি, মরে একটা, আহত হয় একটা’ ভিডিও দেখানো সেই ডিসি এখন ডিবি হেফাজতে

লেফটেন্যান্ট জেনারেল (বরখাস্ত) মুজিবুর রহমান শেখ হাসিনার খুবই বিশ্বস্ত এবং আস্থাভাজন সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। আর্মড ফোর্সেস এবং পুলিশের মধ্যে ‘র’ অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে তিনি এবং জেনারেল তারেক সিদ্দিক ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। জেনারেল মুজিব বাংলাদেশে ‘র’-এর কো-অর্ডিনেটর হিসেবে চিহ্নিত। বিমান বাহিনীতে ‘র’-এর শ্যাডো রিক্রুটার হিসেবে কাজ করা স্কোয়াড্রন লিডার আবদুল্লাহ ইবনে আলতাফ গ্রেপ্তার হওয়ার পর সামগ্রিক তদন্তে বেরিয়ে আসে সামরিক বাহিনীতে ‘র’-এর নেটওয়ার্ক ও জেনারেল মুজিবের সম্পর্ক। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে টানা ক্ষমতায় রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে হুমকির মধ্যে ফেলে দেন জেনারেল মুজিব ও তার নেটওয়ার্কের সদস্যরা। মুজিবের সহযোগিতায় বিভিন্ন বাহিনীতে ‘র’ একটি অবস্থান করে নিয়েছিল। এমনকি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীকেও দুর্বল করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের অপচেষ্টা চালায় ‘র’।

আরও পড়ুনঃ  ঢাবির হলে যেভাবে হত্যা করা হয় তোফাজ্জলকে

শেখ হাসিনার পলায়নের পরদিন ৬ আগস্ট সেনাবাহিনীতে ক্যু করে সামরিক শাসন কিংবা জরুরি অবস্থা জারি করার একটি অপচেষ্টা করেছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিব। সূত্র জানায়, এ প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ছিলেন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন সেনাবাহিনীর আরো কয়েকজন সেনা অফিসার। এদের মধ্যে ছিলেন ডিজিএফআইয়ের তৎকালীন ডিজি মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক, এনএসআইয়ের ডিজি মোহাম্মদ হোসাইন আল মোরশেদ, মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আকবর হোসেন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) তাবরেজ শামস চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ শাহিনুল হক ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) সাইফুল আলম। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বিচক্ষণতায় ওই অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়। জেনারেল মুজিব এর আগে ২ আগস্টও ক্যু করার প্রচেষ্টা করেছিলেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ