Sunday, July 13, 2025

স্বামীর গোপনা’ঙ্গ কেটে থানায় বি’ষপানে আত্মহ’ত্যা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকার

আরও পড়ুন

রাজধানীতে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে থানায় গিয়ে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকা। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গত বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে পল্লবী এলাকার একটি বাসায় স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে দেন ওই নারী। পরে তিনি নিজেই তার স্বামীকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ভাটারা থানায় বিষপানে আত্মহত্যা করেন ওই নারী।

ফিরোজা আশরাভী নামের ওই নারী ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল স্টাডিজ অ্যান্ড গভর্নেন্স বিভাগের লেকচারার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর তার স্বামী ইসমাঈল সুজন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সোশাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউমিন্যানিটিজ বিভাগের লেকচারার।

আরও পড়ুনঃ  সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে কোনো নথি পোড়ে*নি : তদন্ত কমিটি

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাটারা থানার ওসি রাকিবুল হাসান বলেন, স্বামীর পরিবারের লোকজন হাসপাতালে আসার পর বিকেলের দিকে ফিরোজার সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে ফিরোজা নিজে ৯৯৯ এ ফোন করে জানান, তাকে আটকে রাখা হয়েছে।

খবর পেয়ে ভাটারা থানার একটি দল গিয়ে ফিরোজাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তাকে থানায় আনার পর পল্লবী থানা থেকে জানানো হয়, স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  প্রধান উপদেষ্টার সাথে সংলাপ শেষে যা বলল বিএনপি

পুলিশ বলছে, থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় ফিরোজা বিষপান করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ফিরোজাকে হাসপাতাল থেকে ভাটারা থানা হেফাজতে নিয়ে আসা এসআই মো. আরিফ বলেন, ফিরোজা থানায় বসেই আইনি সহায়তার জন্য আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে ‘লিগ্যাল এইডে’র কর্মী পরিচয় দেওয়া দুজন ট্রান্সজেন্ডার থানায় আসেন। ফিরোজা তাকে বসুন্ধরার বাসার চাবি দিয়ে মোবাইলের চার্জার ও ইনহেলার নিয়ে আসতে বলেন।

কিছুক্ষণ পর ওই ট্রান্সজেন্ডার বাসা থেকে চার্জার ও ইনহেলারসহ একটি প্যাকেটে একটি বোতল নিয়ে আসে। এসব হাতে পেয়ে ফিরোজা বোতল মুখে দিয়ে পান করতে থাকলে পাশে থাকা নারী কনস্টেবল বাধা দেন। ফিরোজার সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়।

আরও পড়ুনঃ  রাজনীতি ছেড়ে মাদক আর টিকটকে ব্যস্ত জবি ছাত্রলীগ নেতা

গন্ধ ‘সুবিধাজনক’ মনে না হওয়ায় পরে বোতলটির গায়ে কীটনাশক লেখা দেখা যায়। তাকে তখনই কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ‘ওয়াশ করা’ হয়। পরে সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ফিরোজা মারা যান বলে জানান এসআই আরিফ।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ