ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ভয় পেয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার ‘বাবা’ ট্রাম্পের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন বলে মন্ত্রব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৮ জুন) এক এক্স পোস্টে বিস্ফোরক এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর রয়টার্সের।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিখেন, মহান ও শক্তিশালী ইরানি জনগণ বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে যে ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠীর কোনও উপায় ছিল না। তারা বাধ্য হয়ে ‘বাবার’ (ট্রাম্প) কাছে দৌড়ে গেছে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত থেকে বাঁচতে।
বিজ্ঞাপন
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশেও কড়া মন্তব্য করেন তিনি। আব্বাস আরাঘচি বলেন, ট্রাম্প যদি সত্যিই ইরানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তি করতে চান, তাহলে তাকে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির প্রতি ‘অসম্মানজনক ও অগ্রহণযোগ্য ভাষা’ পরিহার করতে হবে। খামেনির কোটি কোটি হৃদয়স্পর্শী অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত করা বন্ধ করতে হবে তাকে।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে ‘একটি ভয়ানক ও লজ্জাজনক মৃত্যু’র হাত থেকে রক্ষা করেছেন তিনি।
গত সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। যদিও এই হামলাগুলো কতটা কার্যকর ছিল, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। এই হামলার মাধ্যমে ১৩ জুন শুরু হওয়া ১২ দিনের সংঘাতে ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমাবর্ষণে যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্প পরে নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে বলেন, তিনি ইরানি নেতাকে হত্যার হাত থেকে রক্ষা করেছেন। কিন্তু খামেনি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে বরং অবজ্ঞা দেখিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেন, আমি জানতাম, সে (খামেনি) কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল। তারপরও আমি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীকে তার জীবন শেষ করতে দিইনি। আমি তাকে একটি ভয়ানক ও লজ্জাজনক মৃত্যু থেকে রক্ষা করেছি, যদিও তাকে বলতে হয়নি ‘ধন্যবাদ, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প!’
ইরানে হামলার জন্য নিজের সাফাই গেয়ে ট্রাম্প আরও লিখেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে কাজ করছিলাম আমি, যা তেহরানের অন্যতম প্রধান দাবি। কিন্তু তার বদলে ঘৃণা, রাগ ও তীব্র অপমানের পেলাম আমি। ফলে সঙ্গে সঙ্গেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সংক্রান্ত সব কাজ বন্ধ করে দিলাম।
এ সময় ইরানকে আবারও আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানান তিনি। তবে, ইরান জানিয়ে দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরু করতে যাচ্ছে না তারা।