নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীরের মার্চ ফর খিলাফতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় আটক এক ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভূঁইয়া। প্রথমে সেই ব্যক্তিকে রিকশা চালক বলে প্রচার হলেও পরবর্তী সময়ে জানা যায়— তিনি একজন পানি সাপ্লায়ার।
শুক্রবার বিকেল ৪টা ৪৬ মিনিটে তাকে ডিবি অফিস থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার পর সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্টও দেন আসিফ।
বিকেল ৪টা ৩৬ মিনিটে দেওয়া পোস্টে তিনি জানান, ৫ আগষ্টের পর এই জনতাই সব সংকট থেকে দেশকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে। বিপ্লবোত্তর একটা ভঙ্গুর আর অসহযোগিতা পূর্ণ প্রশাসন নিয়ে জনতার সাহায্য ছাড়া টিকে থাকা অসম্ভব ছিল। গতকাল যারা সরকারকে মিস ইনফরমেশন দিয়েছেন নোট করে রাখা হয়েছে।
আটক সেই ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে নিলেন উপদেষ্টা আসিফ
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়, এভাবে বলিনি : নাহিদ ইসলাম
তিনি লেখেন, আর যারা মুখোশ পড়ে নানারকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারাও সাবধান হয়ে যান। জনতাকে এখন আর ঘোল খাওয়ানো যায় না, তারা সব বোঝে।
আটক ব্যক্তি সম্পর্কে আসিফ জানান, মামার নাম আরমান, উনি রিকশাওয়ালা না। বায়তুল মোকাররমের সামনের দোকানগুলোতে পানি সাপ্লাইয়ের কাজ করেন। পুলিশকে সহায়তা করতে গেলে তার উপরেও হামলা করে আহত করা হয়। পরবর্তী সময়ে আর্মির সদস্যরা তাকে এরেস্ট করে ডিবিতে সোপর্দ করে। তাকে ছাড়িয়ে এখন ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। জনতাই শক্তি।
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরীরের মার্চ ফর খিলাফতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় সংগঠনটির একজনকে মারতে দেখা গেছে এক ব্যক্তিকে। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে তাকে আটক করে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। এরপরই আটকের দৃশ্য দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। পরে অনেকেই তার মুক্তির দাবি করেন।
এ বিষয়ে একটি তাৎক্ষণিক প্রেস ব্রিফিং করার কথা থাকলেও সেই ব্রিফিংটি হয়নি। একই সঙ্গে সেই ব্যক্তিকে রিকশাচালক দাবি করে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তার মুক্তি দাবি করেন।
হিযবুত তাহরীরের মিছিল
শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় মার্চ ফর খিলাফা কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিল বের করেছে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর।
মিছিলটি পল্টন থেকে বিজয়নগরের দিকে এলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। তবে তার আগে প্রায় ১৫ মিনিট নির্বিঘ্নে মিছিল করে নিষিদ্ধ এই সংগঠন। পরে অবশ্য পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়লে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় হিযবুত তাহরীরের কর্মীরা।