Saturday, August 2, 2025

আইনজীবী সাইফুল হত্যার প্রধান আসামি যেভাবে গ্রেফতার হলেন

আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি হলেন চন্দন (৩৫)। বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিনে নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানা যায় তিনি ভৈরবে অবস্থান করছেন।

চন্দন চট্টগ্রাম বান্ডেল রোডের সেবক কলোনির মেথরপট্টি এলাকার মৃত ধারীর ছেলে। চন্দনের ট্রেন থেকে নেমে তার ভৈরবের মেথরপট্টিতে অবস্থিত শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। তিনি মামলার ১নং আসামি বলে পুলিশ জানায়। বর্তমানে চন্দনকে ভৈরব থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  যাদের সহায়তায় পালিয়েছিল সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, ভয়ঙ্কর তথ্য ফাঁস

ওসি মো. শাহিন মিয়া জানান, ঘটনার পর মামলা হলে প্রধান আসামি চন্দনকে ধরতে চট্টগ্রাম ডিবি গত দুদিন ধরে ভৈরবে অবস্থান করছিল। ডিবি জানতে পারে আসামি চন্দনের শ্বশুরবাড়ি ভৈরব এলাকায়। কিন্তু ডিবি তার খোঁজ পাচ্ছিল না। বুধবার তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে তিনি ভৈরবে অবস্থান করছেন। পরে এ খবর আমাদেরকে জানানো হলে পুলিশ সন্ধ্যার পর থেকে ভৈরব রেলস্টেশনে অবস্থান নেয়। রাত ১১টার দিকে ওসি শাহিন মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে রেলস্টেশন এলাকা থেকে আটক করতে সক্ষম হয়।

আরও পড়ুনঃ  কোটা আন্দোলনে সহিংসতার বিষয়ে কথা বলছেন ব্যারিস্টার সুমন।

ওসি আরও বলেন, চন্দন ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়ে রাত সাড়ে ৭টায় ভৈরব রেলস্টেশনে নামেন। তার শ্বশুরবাড়ি ভৈরবের মেথরপট্টিতে। ট্রেন থেকে নেমে তিনি স্টেশনে ঘোরাঘুরি করছিলেন। তার ইচ্ছা ছিল রাত গভীর হলে শ্বশুরের বাসায় আশ্রয় নেবে। এরই মধ্য আমরা তাকে গ্রেফতার করি। বর্তমানে থানা হেফাজতে তাকে রাখা হয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়টি চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে। পুলিশ চট্টগ্রাম থেকে আসলেই তাকে হস্তান্তর করা হবে।

আরও পড়ুনঃ  ‘মৃত্যুর জন্য তুমি দায়ী বাবা’ বলে লাইভে ফাঁস নিলেন গৃহবধূ

গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের এসি দত্ত রোডের এক বিল্ডিংয়ের সামনে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে। উক্ত মামলার ১নং আসামি চন্দন। এ মামলায় পুলিশ আগেই ৯ জনকে গ্রেফতার করলেও প্রধান আসামি চন্দন ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল। অবশেষে তিনি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ