Wednesday, September 17, 2025

বৃষ্টি আর কত দিন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

আরও পড়ুন

সারাদেশে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুম প্রায় শেষের দিকে, তবুও এ সময় দেশের কিছু অঞ্চলে কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বিরতিহীন বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের অনেক জায়গা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বন্যার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। কিন্তু এর পেছনের কারণ কী? কতদিন চলবে বর্ষা মৌসুমের শেষ বৃষ্টি?

এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। সেই সঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টিরও আভাস রয়েছে। এর প্রভাবে কয়েক দিন ধরে রাজধানীসহ সারাদেশে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  ‘বিয়ের গোসলটা পেলাম না, শেষ গোসলটাও পাব না’

সারাদেশে যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, বৃষ্টির এ ধারা ১১ অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের এ পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিচ্ছে। এ সময়ে এটি শক্তিশালী আচরণ করে এবং প্রচুর বৃষ্টি ঝরায়। এ ছাড়া বিদায়ের আগে বর্ষা মৌসুম শক্তি অর্জন করে এবং বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে মেঘ জমে। তার উপর, ইন্ডিয়ান ওশান ডিপোল (আইওডি) বা ইন্ডিয়ান নিনো বঙ্গোপসাগরকে প্রভাবিত করছে বলে জানান এ আবহাওয়াবিদ।

আরও পড়ুনঃ  নির্বাচনে অসংগতির তথ্যচিত্র বিদেশিদের দেবে বিএনপি

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল পেরিয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত এবং এর একটি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত প্রসারিত হয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের ওপর প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপ ও স্বাভাবিকের চেয়ে উঁচু জোয়ারের আশঙ্কায় দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। গভীর সাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  দুদিন আগে হু'মকি দিয়ে কাজ হয়নি তাই ভিডিও ছেড়ে দিলামঃ নূর

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ও কানাডার সাসকাচেওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর ও নেত্রকোনার ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে ভারি থেকে খুবই ভারি বৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মেঘালয় পর্বতের মধ্যে সবচেয়ে উঁচু পর্বতগুলোর মধ্যে একটি চোখপট নামক স্থান। এই স্থানেই সবচেয়ে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে এবং এই স্থানটি শেরপুর জেলার বিপরীতে। ফলে এখানে যে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে, তা দ্রুত নেমে আসছে শেরপুরের নদীগুলোতে পাহাড়ি ঢল আকারে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ