অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ -এ প্রকাশ হচ্ছে কবি ও লেখক এবং ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব রুমনের দ্বিতীয় কাব্যগ্রথ ‘পদ্যবাড়ির অন্ধরমহল’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাব্যগ্রন্থটির নাম প্রকাশেই হইচই ফেলে দিয়েছে। প্রশংসায় ভাসছেন প্রতিভাবান তরুণ এই কবি।
একবার বই প্রকাশ করলে পরে অনেকেই জিজ্ঞেস করে, এবার কোন বই প্রকাশ করছেন কিনা? এমন প্রশ্নে কবি মাহবুব রুমন একুশে বার্তাকে বলেন, ২০২১ এর বইমেলায় সাড়া জাগানো ও আলোচিত কাব্যগ্রন্থ ‘কাব্য টোকাইয়ের অভিষেক’ এর ন্যায় এবারেও প্রকাশিত হতে যাচ্ছে নতুন কাব্যগ্রন্থ ‘পদ্যবাড়ির অন্দরমহল’ কাব্যগ্রন্থটি প্রসব করছেন : ছায়াবীথি প্রকাশনী (অমর একুশে বইমেলা স্টল নং : ৪৪৯-৪৫২) মুখবন্ধে : শ্রদ্ধেয় প্রফেসর ড.সৌমিত্র শেখর ভিসি, ( জাককানইব )। মোড়কউন্মোচন : ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩। এ বিষয়ে কবি মাহবুব রুমন বলেন, বইটি পড়ে পাঠকরা নতুন কিছু চমক পাবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, প্রকৃতি, প্রেম,সাম্য,বৈষম্যের বাইরের দিক থেকে দেশের পরিসীমা ছাড়িয়ে বিদেশের পরিব্যপ্ত ইত্যাদি নিয়ে চমক পাবে আমার নিয়মিত পাঠকরা।
প্রথম বই : কাব্য টোকাইয়ের অভিষেক ( ২০২১ সাল) বিশিষ্ট উক্তি :
অস্তগামী সূর্য পশ্চিমে ছুটে ; পূবে না
সাবধানী মাঝির নৌকা বিনা ঝড়ে ডুবে না
উক্তিটি : সাবধানী মাঝি ‘ কবিতার শেষ ২ চরণ।
সনামধন্য এই কবি নেত্রকোণা জেলার, পূর্বধলা উপজেলায় ধলামুলগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন, মাহবুব রুমনের জন্ম ২২ নভেম্বর ১৯৯০। প্রতিভাবান এই কবি শৈশবজীবন গ্রামে কাটালেও পরে উচ্চশিক্ষা’র জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পড়াশোনা শেষ করে ৩৬ তম BCS এর প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি পদোন্নতি লাভ করে এসিল্যান্ড ( assistant commissioner Land) পদে কর্মজীবন অতিবাহিত করছেন। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ও মা হাজেরা খাতুন। প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রথ : “কাব্য টোকাইয়ের অভিষেক”। ৫ম শ্রেণী থেকেই লেখালেখির হাতেখড়ি। পরবর্তিতে জাতীয় দৈনিক যুগান্তরসহ, বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও স্থানীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, পাক্ষিক এবং বার্ষিক পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করেন। পাশাপাশি মাসিক ম্যাগাজিনেও লেখালেখি করেন তিনি।
সুত্রঃ একুশে বার্তা