প্রথমবারের মতো ট্রিপল-প্লে ও কোয়াড-প্লে সেবা চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। এতে একজন গ্রাহক একইসঙ্গে ভয়েস কল, ইন্টারনেট সংযোগ, স্মার্টফোন ডিভাইস এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মভিত্তিক বিনোদন সুবিধা পাবেন।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, “বিটিআরসির প্রক্রিয়াগত উন্নয়নের পাশাপাশি সাধারণ গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে না পারলে এই উদ্যোগও আগের মতোই ব্যর্থ হবে।”
দেশে ফাইভ জি হ্যান্ডসেটের অভাবে নাগরিকরা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ সমস্যার সমাধান হিসেবে বিটিসিএল প্রথমবারের মতো মোবাইল সিমের মাধ্যমে এই পরিষেবা দিতে যাচ্ছে।
শনিবার ফেসবুকে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
এ সেবার মাধ্যমে একজন গ্রাহক শর্তসাপেক্ষে একইসঙ্গে ভয়েস কল, ইন্টারনেট ডাটা এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম যেমন বঙ্গবিডি, চরকি ও হইচই দেখতে পারবেন। পরবর্তীতে এখানে যুক্ত হতে পারে নেটফ্লিক্স ও অ্যামাজন প্রাইম।
একইসাথে, বিটিসিএল গ্রাহকদের জন্য আনছে মাত্র ৫০০ টাকা কিস্তিতে এক বছরের প্যাকেজে স্মার্টফোন হ্যান্ডসেট, যা নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য স্মার্টফোন কেনা সহজ করবে বলে জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, “বিটিআরসির প্রক্রিয়াগত উন্নয়ন না করে এবং বিটিসিএল গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করতে না পারলে এই চেষ্টাও আগের মতোই ব্যর্থ হবে।”
এ বিষয়ে টেলিকম বিশ্লেষক সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ‘বিটিসিএলের ব্রডব্যান্ড সেবা অনেকদিন ধরেই চলছে। সমস্যা হচ্ছে যে, সেবার পরিধিটা খুবই সীমাবদ্ধ, খুব অল্প জায়গার মধ্যে তারা এই সেবাটা দেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেই এই সেবাটা সীমাবদ্ধ, পাবলিকলি খুব বেশি এটি প্রচলিত হয়নি বা জনপ্রিয়তা পায়নি। তার একটা বড় কারণ হতে পারে, বিটিসিএলের সেবার প্রক্রিয়া। এটা সাধারণ মানুষের জন্য খুব সহজলভ্য নয়।’
বিটিসিএলের এ উদ্যোগের আওতায় মোবাইল সিম, অ্যাপসহ মোট ৫টি সেবা গ্রাহকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।