রংপুরের হারাগাছে মসজিদের সীমানা প্রাচীর নিয়ে দু’গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় মসজিদের টিনের বেড়া, আসবাবপত্র ও বেশ কিছু গাছ কেটে ফেলে হামলাকারীরা। এঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে মসজিদের সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসহ একই এলাকার রফিকুল ও শরিফুল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় হেলমেট পরে রফিকুল গ্রুপের কয়েকজন যুবককেও হামলায় অংশগ্রহণ করতে দেখা য়ায়।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই এই মসজিদ এবং মসজিদ সংলগ্ন রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলছিল ওই দু’গ্রুপের মধ্যে।
হারাগাছ মেনহাজের পুল এলাকার বাসিন্দা মাইদুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে চলাচলের রাস্তার পাশে একটি দোকান নির্মাণ করে রফিকুলের ছোট ভাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদের জমিদাতা ও সভাপতি শরিফুল সীমানা নির্ধারণের জন্য খুঁটি গাড়তে গেলে রফিকুল গ্রুপ হামলা চালায় শরিফুল ও তার ছেলেদের ওপর। এসময় মসজিদ ভাঙাসহ কেটে ফেলা হয় বেশ কয়েকটি গাছ। মসজিদ ভাঙচুরের বিচার চান এলাকাবাসী।
ওই মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল হাই বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই মসজিদ সংলগ্ন ওই রাস্তাটি নিয়ে বিরোধিতা করে আসছিল রফিকুল ও তার ভাইয়েরা। এরইমধ্যে মসজিদে নামাজ পড়াতে তাকে নিষেধও করা হয়েছে। রমজান মাসে রফিকুল ও তার ভাইদের এমন অমানবিক নৃশংস ঘটনায় মর্মাহত বলেও জানান তিনি।
এঘটনায় রফিকুল গ্রুপের বক্তব্য জানতে কাউকে পাওয়া না গেলেও তার বাবা আব্দুস সামদ জানান, মসজিদের কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে তাদের নিজের জমির ওপর চলাচলের রাস্তা সংকীর্ণ করে বিরোধে জড়ায় শরিফুল। প্রতিবাদ করলে আজ তার ছেলেদের ওপর হামলা চালায় তারা। ন্যায় বিচার চান তিনি।
এ ঘটনায় দুই গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আর মসজিদ কমিটির গ্রুপের শাহ আলম বাদী হয়ে রফিকুল ইসলামসহ ১৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। মামলায় এখন পর্যন্ত রফিকুলসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান হারাগাছ থানার তদন্ত ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী। এ ঘটনায় বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।