Tuesday, August 19, 2025

হাসপাতালে স্বামীকে মারধরের ভিডিওটি নিয়ে বেরিয়ে এলো লোমহর্ষক তথ্য

আরও পড়ুন

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রকাশ্যে স্বামীকে মারধর করেছেন স্ত্রী। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকেই ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। গত রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

৩৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, এক তরুণী সাদা শার্ট পরা এক যুবকের কাছ থেকে মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। ফোনটি নেওয়ার পর ওই নারী উত্তেজিত হয়ে খারাপ ভাষায় গালাগাল করেন এবং যুবকের পিঠে কিল-ঘুষি মারেন। এরপর তাঁর মাথার চুল টেনে ধরে লাথি মারতে থাকেন। এ সময় ওই তরুণীকে বারবার ‘এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক’ বলতে শোনা যায়।

আরও পড়ুনঃ  জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি

মারধরের শিকার যুবকের নাম ফারুক হোসেন। তিনি পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। আর ওই তরুণীর নাম বিথি আক্তার ওরফে মিষ্টি। তিনি কালুখালী উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিংয়ের চাকরি করেন।

ঘটনার সময় হাসপাতালের চিকিৎসক এনামুল হক রোগী দেখছিলেন। তিনি বলেন, ‘বেলা সোয়া একটা নাগাদ বাইরে চেঁচামেচির শব্দ শুনে বের হই। দেখি, ফারুকের সঙ্গে এক তরুণী গালাগাল ও হাতাহাতি করছেন। একপর্যায়ে তিনি ফারুককে কয়েক দফা মারধর করেন। পরে জানতে পারি, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী, তবে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। আমি তাঁদের হাসপাতালে গোলমাল না করে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে বলি।’

আরও পড়ুনঃ  ঘটনা ভিন্ন খাতে চালিয়ে দেওয়ার টার্গেট ছিল খুনিদের

ফারুক হোসেন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিংয়ের চাকরি চলাকালে ওই তরুণীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে তাঁর বিরুদ্ধে রাজবাড়ী আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় জামিনে আসার পর আরও চারটি মামলা করেন ওই তরুণী। একপর্যায়ে বিয়ে করলে সব মামলা তুলে নেবেন বলে জানান। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিয়ে করলেও মামলা না তুলে উল্টো নানাভাবে হয়রানি করতে থাকেন ওই নারী।

আরও পড়ুনঃ  দেশের মানুষের প্রতি আলিফের বাবার আহ্বান

অন্যদিকে বিথি আক্তার দাবি করেন, ফারুক তাঁর স্বামী হলেও দীর্ঘদিন কোনো যোগাযোগ নেই। ফারুক ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করছেন।

ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিব্রত হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বাইরে প্রশিক্ষণে থাকায় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তিনি ফিরে আসার পর করণীয় ঠিক করা হবে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ