Saturday, August 9, 2025

সাংবাদিক তুহিন হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলো পুলিশ

আরও পড়ুন

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা। তারা দেশী অস্ত্র নিয়ে বাদশা নামের এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করেছিল। সাংবাদিক তুহিন সেই দৃশ্য মুঠোফোনে ভিডিও করেছিলেন। যে কারণে তাকে ধাওয়া করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থলের একটি দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত আটটার দিকে গাজীপুর নগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন। তুহিন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বাস করতেন।

আরও পড়ুনঃ  ড্রাইভিং সিটে বসেও বিএনপি’র উদ্বে*গের নেপথ্যে কী?

ওই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা সাংবাদিক তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যাই। সেখানে গিয়ে তুহিনকে মৃত দেখতে পাই। আমাদের তদন্তের প্রয়োজনে আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি। সিসিটিভি ফুটেজে আমরা দেখতে পাই, একজন নারী রাস্তায় একজন পুরুষের সঙ্গে কোনো একটা বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে যান। সে সময় একজন পুরুষ, একজন নারীকে আঘাত করেন। আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে ওই নারীর পূর্ব পরিচিত ৪-৫ জন চাপতিসহ এসে ওই পুরুষকে আঘাত করেন। একপর্যায়ে ওই পুরুষকে আর সিসি ক্যামেরায় পাওয়া যায়নি। পরে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ওই পুরুষ জয়দেবপুর সদর হাসপাতালে আছেন। তার নাম বাদশা মিয়া। তার সঙ্গে আমাদের পুলিশের কথা হয়।

আরও পড়ুনঃ  ‘বিপদে পড়ছি বলেই আপনার কাছে আসছি ভাই, দেন একটা খাম দেন’

মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা তার (বাদশা মিয়া) মাধ্যমে এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি, ওই ঘটনাটি সাংবাদিক তুহিন তার মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। পরে এই ঘাতকরা তুহিনকে চার্জ করেন। তিনি এই ভিডিও কেন করেছে তা জানতে চান এবং এটা ডিলিট করার জন্য বলেন। এরপর তুহিন যখন ডিলিট করতে রাজি হননি, কিংবা ভিডিওর বিষয়টি অস্বীকার করেন, তখন ওই অবস্থাতেই তার আরপর হামলা চালানো হয় এবং মেরে ফেলে।

জানা গেছে, গাজীপুর নগরের বাসন, ভোগরা ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একটি চক্র আছে, যারা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। সিসিটিভির ভিডিওতে যাঁদের দেখা গেছে, তারা সবাই ছিনতাইকারী দলের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ভিডিওতে যে নারীকে দেখা গেছে, তিনিও ওই চক্রের সদস্য হতে পারেন। চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে ওই চক্র ছিনতাই করে থাকে।

আরও পড়ুনঃ  জাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা

পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মূলত একজন নারীকে কেন্দ্র করে প্রথমে একটি হামলার ঘটনা এবং পরে একটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত আমাদের তদন্তে এর বাইরে অন্য কিছু উঠে আসেনি। আমরা ধারণা করছি, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের ওই নারী ছিনতাইকারী দলের সদস্য। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে এরই মধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে।’

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ