Monday, August 4, 2025

‘৪ আগস্ট রাতেই হাসিনা পতনের পরিকল্পনা করেছিল কে জানা গেল

আরও পড়ুন

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট রাতের মিটিংয়েই শিবির নেতা সিবগাতুল্লাহ তার নেতাকর্মীদের নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার ও গণভবন দখলে নেওয়ার সব পরিকল্পনা প্রস্তুত করেন। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে সেদিনের ঘটনার বর্ননা দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন বাংলাভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক কেফায়েত শাকিল।

শনিবার (২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া তার এই পোস্টটি ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। কেফায়েত শাকিল লেখেন, ‘জুলাইজুড়ে প্রায় ৩০ জন তরুণ সাংবাদিকের একটি গ্রুপের সঙ্গে প্রতিদিন আন্দোলনের প্ল্যানারদের মিটিং হতো। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি প্লাবন তারেক ভাই ও সাংবাদিক ইসরাফিল ফরাজি (Esrafil Farazi) ভাইয়ের সমন্বয়ে এই মিটিংয়ে পালা করে কয়েকজন সমন্বয়ক অংশ নিতেন।

আরও পড়ুনঃ  শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে মাঠে নেমেছে বিএনপি-জামায়াত: কাদের

২ আগস্ট এই মিটিংয়ে এসে সিবগাতুল্লাহ বলেন, এ সপ্তাহেই আমরা সরকার পতনের সম্ভাবনা দেখছি। আপনারা সহযোগিতা করলে এটা সফল করা কঠিন হবে না।’ সাংবাদিক কেফায়েত বলেন, ‘তখন অবশ্য আমরা তার রাজনৈতিক পরিচয় জানতাম না। তাই কথাগুলো অবাস্তব মনে হচ্ছিল। তবে তার স্পিড দেখে আশার আলোও পাচ্ছিলাম।

সবশেষ ৪ আগস্ট রাতের মিটিংয়ে তিনি আবার এসে বলেন, কালই হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাই। আমরা সব পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছি। লোকজন সব সেট করা আছে। কাল যেভাবেই হোক আমরা গণভবন দখলে নেব, এতে যত মৃত্যুই হোক। এ ক্ষেত্রে আপনাদের একটা বড় সাপোর্ট লাগবে…’

আরও পড়ুনঃ  আমাদের সব ধরনের ব্যবস্থা আছে, ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছি: ডিবির হারুন

কেফায়েত শাকিলের ভাষায়, ‘আমি সেই সময় থেকেই বিজয়ের গন্ধ পেতে শুরু করি…’

এর আগে ভাইরাল হওয়া এক পোস্টে সাংবাদিক কেফায়েত ১৯ জুলাই ৯ দফা ঘোষণার মাধ্যমে ছাত্রশিবির আন্দোলনটা কব্জায় নেওয়ার কথা জানান।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই, তৎকালীন সরকারের তিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে ৮ দফার ঘোষণা দিয়ে পরদিন (২০ জুলাই) কালো ব্যাজ ধারণ ছাড়া কোনো কর্মসূচি নেই বলে জানান তিন সমন্বয়ক নাহিদ, হাসনাত ও সারজিস।

আরও পড়ুনঃ  ছাত্রলীগের ৪ নেতাকে বেধড়ক পিটুনি, কুপিয়ে আহত

তবে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ওইদিনই ৯ দফা ঘোষণা করে তা প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে প্রচার করা নিয়ে জীবনবাজি রাখা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে আব্দুল কাদেরের মাধ্যমে। মূলত সেদিনই শিবির আন্দোলনটা নিজেদের কব্জায় নিয়ে যায়।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ