Tuesday, August 26, 2025

ময়না হ*ত্যার আসল ঘটনা জানালেন ময়নার মা

আরও পড়ুন

ময়নার লাশ মসজিদের ছাদে — প্রকৃত হত্যাকারী চাচা ও মা, নির্দোষ ইমাম-মুয়াজ্জিন গ্রেপ্তার

এক হৃদয়বিদারক ও লোমহর্ষক ঘটনার সাক্ষী হলো [জেলার নাম]-এর [উপজেলার নাম] এলাকা। নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর স্থানীয় একটি মসজিদের ছাদ থেকে ময়না নামের এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয় মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে। ডিএনএ পরীক্ষায় তারা নির্দোষ প্রমাণিত হলেও তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

তদন্তে বেরিয়ে আসে, ময়নার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল তার নিজের মা ও চাচা। জানা যায়, ময়নার বাবা বিদেশে থাকায় তার অনুপস্থিতিতে স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন চাচার সঙ্গে। ঘটনার দিন দুপুরে ময়না হঠাৎ তাদের অবৈধ সম্পর্ক আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন। এ সময় সত্য ফাঁসের আশঙ্কায় মায়ের হাতে নির্যাতনের শিকার হয় ময়না।

আরও পড়ুনঃ  ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথমে তার এক কান কেটে দেওয়া হয়। এরপর মেয়ে যেন ঘটনাটি প্রকাশ না করতে পারে, এজন্য পৈশাচিকভাবে দেওয়ালের সাথে ধাক্কা দিয়ে আঘাত করা হয়। কিন্তু এতেও মৃত্যু না হওয়ায়, শেষপর্যন্ত চাচা ময়নার স্পর্শকাতর স্থানে রড ঢুকিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেন।

হত্যার পর তারা লাশ লুকাতে মসজিদের ছাদে ফেলে রাখে, যেন মসজিদের সংশ্লিষ্টদের ওপর সন্দেহ পড়ে। পরিকল্পনা অনুযায়ী পুলিশ ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে গ্রেপ্তার করে, যদিও তদন্তে তাদের সম্পূর্ণ নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে ঘুরতে দেখে স্বামীর আত্মহত্যা

ময়নার বাবার বক্তব্য:
বিদেশ থেকে ছুটে আসা ময়নার বাবা বলেন, “আমার মেয়ে আমাকে ফোনে বারবার বলত, বাবা তাড়াতাড়ি বাড়ি আয়। সে নিশ্চয়ই কিছু জেনে গিয়েছিল, যার জন্য তাকে চিরতরে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।” তিনি মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় তার ভাইসহ একাধিক ব্যক্তিকে সন্দেহ করছেন।

সামাজিক প্রতিক্রিয়া:
এই ঘটনায় সমাজে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দাড়ি-টুপি থাকার কারণে নির্দোষ ইমাম-মুয়াজ্জিনকে বিনা প্রমাণে হয়রানি করার অভিযোগে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

আরও পড়ুনঃ  ফেসবুক স্ট্যাটাসে ৩ দাবি ঘোষণা করলেন হাস*নাত আব্দুল্লাহ

পুলিশের বক্তব্য:
পুলিশ বলছে, “মূল আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। নিরপরাধ ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হবে।”

এই নির্মম হত্যাকাণ্ড শুধু একটি কিশোরীর জীবন কেড়ে নেয়নি, বরং একটি পরিবার, একটি সমাজ এবং একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সুনামকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এখন সকলের চাওয়া— প্রকৃত হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নির্দোষদের অবিলম্বে মুক্তি।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ