উত্তরা পূর্ব থানা থেকে পালিয়েছেন গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছিল। এর মধ্যেই তিনি কৌশলে পালিয়ে যান তিনি।
জানা গেছে, গতকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) মধ্যরাতে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল উত্তরা পূর্ব থানার একটি দল। কিন্তু এরপর সেখান থেকে ঢাকা আনলেও কয়েক ঘণ্টাও আটকে রাখা যায়নি তাকে।
ওসি শাহ আলম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন শেষ সময়ে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
সর্বশেষ তিনি ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে পরিদর্শক কুষ্টিয়ায় কর্মরত ছিলেন। ২ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া একটি হত্যার মামলায় আসামি করা হয় তাকে।
আরও পড়ুনঃ শেকৃবিতে প্রথমবারের মতো সিরাত মাহফিল
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) প্রথমবারের মতো সিরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত এই মাহফিলে নবী করিম হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ও শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রচারে একটি অনন্য উদ্যোগ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।
মাহফিলে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক (দা.বা.), ত্ব-হা যিন নুরাইন ইসলামিক সেন্টারের পরিচালক আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান (হাফিঃ), এবং আদ-দাওয়াহ ইলাল্লাহর পরিচালক আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক (হাফিঃ)। তাঁরা নবীজীর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং তাঁর শিক্ষাগুলোকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন। এ ছাড়া প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি অনুষ্ঠানে বিশেষ মাত্রা যোগ করে।
মাহফিলে ছেলেদের ও মেয়েদের জন্য পৃথক বসার সুসজ্জিত ব্যবস্থা রাখা হয়, যা পুরো অনুষ্ঠানকে আরও সুশৃঙ্খল ও মনোরম করে তোলে। মাহফিল উপলক্ষে আগের রাতে শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে একটি কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়, যা ব্যাপক সাড়া ফেলে। বিজয়ীদের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কারের ব্যবস্থাও ছিল।
ভেন্যুতে ইসলামিক বিষয়ক বইয়ের একটি প্রদর্শনী ও বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের ইসলামিক জ্ঞানার্জনে অনুপ্রাণিত করেছে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবাইকে স্মরণীয় গিফট দেওয়া হয়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল বাড়তি আনন্দের উপলক্ষ।
সিরাত মাহফিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে। আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেছেন, এ ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতে শেকৃবির ঐতিহ্যের অংশ হয়ে উঠবে এবং শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।