Tuesday, January 28, 2025

২৬ শে মার্চ দেশে ফির°ছেন আওয়ামী*লীগ নেতারা!

আরও পড়ুন

২০২৪ সালের পাঁচ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পতনে হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কেউ কারাগারে, কেউ আবার দেশের বাইরে, কেউ আত্মগোপনে রয়েছেন। দলটি এখন এক বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক ফ্রন্টে পরিণত হয়েছে।

এরই মাঝে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এতে আকম মোজাম্মেল হক, নাহিম রাজ্জাক, আফম বাহাউদ্দিন নাসিম, পঙ্কজ দেবনাথ, সাইফুজ্জামান শেখর, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও মাহবুব উল আলম হানিফের বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

আরও পড়ুনঃ  জনগণের রাজনীতি করতে চাইলেই দল ভাঙার চেষ্টা করে সরকার: জিএম কাদের

প্রতিবেদনের শিরোনামে ছিল, গোপনে আশ্রয় নিয়ে হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। আইনের শাসন ফেরার অপেক্ষায়। তবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ প্রতিবেদনকে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছে। তারা বলছে, এটি একটি সুপরিকল্পিত প্রচারণার অংশমাত্র। প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের এক মন্ত্রী বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ৩৭ টি হত্যা মামলা এবং আনুমানিক ১০০ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিদিন তার ঠিকানায় আইনি নোটিশের বাণ্ডিল পাঠানো হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দুই নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের আরেক নেতা জানান, আমার বাড়ি, বাবার বাড়ি এবং ভাইদের বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও নেতা কর্মীদের মধ্যে দেশে ফিরে জনগণের জন্য কাজ করার আশা রয়ে গেছে। শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য ও সংসদ সদস্য বলেন, আমরা দেশ পুনর্গঠনে সংকল্প নিয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, তাদের সম্পত্তি ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। দলটির এক তৃতীয়াংশ নেতা কারাগারে আর দেশের বাইরে লুকিয়ে রয়েছেন। বাকি অংশ বাংলাদেশে আত্মগোপনে রয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  বিজয় ব়্যালি*কে কেন্দ্র করে বি*এন*পির দুই গ্রুপের হাতা*হাতি

প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার শেষ মন্ত্রিসভার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক জানান, দলটির হাজার হাজার কর্মী উচ্ছেদের শিকার। তারা খাদ্য কিনতে পারছে না। তবে তৃণমূল কর্মীদের মনোবল অনেক উঁচুতে। আমরা ভারতের সহায়তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রত্যাশা করছি। প্রতিবেদনে আকম মোজাম্মেল হক বলেন, সিনিয়র নেতারা মনে করেন, আমাদের সবার ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশে ফিরে যাওয়া উচিত।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ